বাংলা হান্ট ডেস্ক :- ইটভাটায় শিশু শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়ে দু হাতই খুঁইয়েছেন, তবু কখনওই এই প্রতিবন্ধকতা সাফল্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোচবিহারের বিষ্ণু বর্মনের। প্রচন্ড অধ্যাবসায় ও একাগ্রতার সাথে তাঁর নিশ্চিত লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে সে। মাধ্যমিকে ৫৬% নম্বর পেয়ে খবরের একেবারে শীর্ষে সে।
ছোটো থেকেই পড়াশোনার প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রবল। দুর্ঘটনাতে দুই হাত হারিয়ে ফেললেও বিষ্ণু কখনোই একেবারে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেনি। অবশ্য প্রথমে তাঁর স্কুলে ভর্তি হতে তাকে প্রচন্ড বেগ পেতে হয়েছিল, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য অনেক স্কুল তাঁকে ভর্তি নেয়নি।অবশেষে সে কোচবিহারের গদাইখোঁড়া ভি এম স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।
ছেলের মাধ্যমিকে নম্বর(৩৮৯) দেখে খুশি তাঁর মা-বাবাও। তাঁদের একেবারেই দিনআনা, দিন খাওয়া পরিবার। কোনোমতে বাবার দিনমজুরির মাধ্যমে বাবা সংসার চালায়। তাঁর মা ফুলতি বর্মনের বলেন, “আমাদের এত কষ্টের সংসার, কোনো রকমে দিন কাটে।এত অভাবের ছেলেকে খরচা দিয়ে পাড়াবো কি করে”?!?
শীতলকুচির BDO ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়াও বিষ্ণু র ফরাফলে যথেষ্ট খুশি। এত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠে সে যে এত ভালো ফলাফল করবে, তা তাঁর চিন্তার ও উর্ধ্বে।তাই শীতলকুচির এই BDO নিজে আশ্বাস দেয় যে সরকারি ভাতা তিনি বিষ্ণুর জন্য ব্যবস্থা করে দেবেন। এমনকি স্কলারশিপের ব্যাপারেও উল্লেখ করেন তিনি।