সুযোগ পেলেই মহিলাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক! ‘জিন ভরা’ কবিরাজ এবার পুলিশের হাতে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মানুষের বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন চলছিল ঘৃণ্য কাজ। কেউই বুঝতে পারেন নি তাঁর চালাকি। কিন্তু, শেষরক্ষা আর হলনা! বরং কবিরাজের “কুকর্ম” ফাঁস হতেই রীতিমত অবাক হয়েছেন গোটা এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে যে, যেসমস্ত অসহায় মহিলা তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য আসতেন তাঁদের অধিকাংশ জনের সঙ্গেই শরীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন ওই “ভন্ড” কবিরাজ।

শুধু তাই নয়, আর্থিক প্রতারণারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন “বোতলে জিন ভরা করিরাজ” নামে। যদিও, তাঁর আসল নাম ইব্রাহিম। ইতিমধ্যেই ওই কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বাংলাদেশের হালিশহর থানার মধ্যম রায়পুর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মহম্মদ ফারহাদুল ইসলাম নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর চিকিৎসার জন্য ইব্রাহিম ওরফে “বোতলে জিন ভরা করিরাজ”-এর কাছে সাহায্যের জন্য যায় তাঁর পরিবার। সেখানেই ফারহাদুলকে তাবিজ ও জলপোড়া দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ভাগ্যে গুপ্তধন পাওয়ার যোগ রয়েছে বলে জানান ইব্রাহিম।

তবে, এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি ওই কবিরাজ আরও জানান যে, সামান্য কিছু টাকা খরচ করলেই তিনি নিজে ওই গুপ্তধন উদ্ধার করে দেবেন। এদিকে, এই আশ্বাস পেয়ে “বোতলে জিন ভরা করিরাজ”-কে প্রথমে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে আরও দেড় লক্ষ টাকা দেয় ফারহাদুলের পরিবার।

এভাবেই পরপর টাকা দেওয়ার মাধ্যমে মোট ৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেন ওই “ভন্ড” কবিরাজ। এমতাবস্থায়, গুপ্তধন উদ্ধার করতে না পারার পর সমস্ত টাকা ফেরত চায় পরিবারের লোকজন। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। পরে উপায় না পেয়ে ওই কবিরাজের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। তারপরেই ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব (Rapid Action Battalion)। যদিও, ফারহাদুলের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, আধ্যাত্মিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁদের ক্ষতির হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্ত ইব্রাহিম।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর