পরপর বসানো চারটি প্যান! মাঝে নেই কোনো দেওয়াল, সরকারি শৌচালয়ের কাণ্ডে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বস্তি (Basti) জেলা থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে আসে। যেখানে একই শৌচাগারে পাশাপাশি বসানো ছিল দু’টি প্যান। এমনকি, লজ্জা নিবারণের জন্য মাঝে ছিলনা কোনো দেওয়াল! ঝড়ের গতিতে ওই অদ্ভুত শৌচাগারের ছবি ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। তবে, সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ফের একবার উত্তরপ্রদেশ থেকেই সামনে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

জানা গিয়েছে, এবার সেখানে খোঁজ মিলেছে এমন একটি শৌচাগারের যেটিতে একইসাথে চারটি প্যান পরপর বসানো রয়েছে। হ্যাঁ, প্রথমে এটা শুনে অবাক হয়ে গেলেও এবার ঠিক এই ঘটনাই সামনে এসেছে। এমনিতেই এখন দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে, প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির প্রকল্প গৃহীত হচ্ছে। ঠিক সেই আবহেই এহেন ঘটনা সামনে আসায় রীতিমতো তা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে বস্তি জেলায় এমন বেশ কয়েকটি শৌচাগার রয়েছে যেগুলিতে একাধিক প্যান রয়েছে।

এদিকে, আমরা যে ঘটনাটির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি সেটি বস্তি জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রুধাউলি বিকাশ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত ধানসায় ঘটেছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার কমিউনিটি টয়লেটের ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। যেটি দেখে হুঁশ উড়েছে সবার। একইসাথে পরপর চারটি প্যান ওই শৌচাগারে দেখে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মজাদার প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

কাজ অসম্পূর্ণ হলেও তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা: জানা গিয়েছে, ৯ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই শৌচাগারের অনেক কাজ এখনও অসম্পূর্ণ থাকলেও সেটি তৈরির ক্ষেত্রে বাজেটের পুরো টাকাটি তুলে নেওয়া হয়েছে। উপরন্তু, সেটিতে একইসাথে চারটে প্যানও বসানো হয়েছে।

whatsapp image 2022 12 30 at 3.32.04 pm

বিষয়টি তদন্ত করা হবে: এদিকে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বস্তির সিডিও রাজেশ প্রজাপতি জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ওই জেলায় শিশুদের জন্য ৩৯ টি কিডস টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে এক জায়গায় দুই অথবা চারটি প্যান বসানো হলেও প্যানের পোর্ট শিটটি ছোট হত। এমতাবস্থায়, বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর