ভেঙে দেওয়া হবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল? হাইকোর্টে দায়ের মামলা! শুনানি কবে?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের জেরে এবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) ভেঙে দেওয়ার দাবি উঠল। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এই নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL)। পাঁচজন মামলাকারীর মধ্যে ৩ জন হলেন চিকিৎসক এবং বাকি ২ জন অ-চিকিৎসক বলে খবর।

জনস্বার্থ মামলার শুনানি কবে (Calcutta High Court)?

জানা যাচ্ছে, মামলাকারীদের দাবি, যে ভোটাভুটির মাধ্যেম রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গঠিত হয়েছে, সেই ভোট প্রক্রিয়াই অবৈধ এবং ত্রুটিপূর্ণ। কারচুপির একগুচ্ছ অভিযোগ থাকার পাশাপাশি ওই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী। এদিকে তাঁর নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এমনই নানান বক্তব্য এবং দাবি সহ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মামলাকারীরা।

তাঁদের দাবি, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোট নিয়ে বরাবরই কারচুপির অভিযোগ সহ নানান কারণে জলঘোলা হয়। বেশ কয়েকবার সেই জল গড়িয়েছে আদালতে অবধি। যে কারণে ২০১০ সালের চূড়ান্ত নির্বাচন ৩ বছর পিছিয়ে ২০১৩ সালে হয়। একইরকমভাবে ২০১৮ সালের চূড়ান্ত নির্বাচন ৪ বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে হয়। ফলে ২০১০-২০১৩ এবং ২০১৮-২০২২ সাল অবধি কাউন্সিলের কোনও অস্তিত্ব ছিল না।

আরও পড়ুনঃ ‘দলে ফিরতে পারতেন না…’! তৃণমূলে এবার অভিষেক ভার্সেস কুণাল? এক মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা

এই বিষয়ে ধৃতিমান সেনগুপ্ত নামের এক অ-চিকিৎসক মামলাকারী বলেন, ‘ওই সময়কালে কাউন্সিলের অস্তিত্ব ছিল না। ফলে চিকিৎসায় গাফিলতি বিষয়ক যে কোনও মামলার শুনানি থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। সেই জন্য নির্বাচন কাউন্সিল ভেঙে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ত্রুটিমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর আর্জি জানানো হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়’।

Calcutta High Court

এর পাশাপাশি ব্যালটের মতো ‘পুরনো’ পদ্ধতি ছেড়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোট প্রক্রিয়াকে আধুনিক ও বৈদ্যুতিন করার দাবি জানিয়েছেন মামলাকারীরা (Calcutta High Court)। এই বিষয়ে শোভন দাস নামের একজন চিকিৎসক মামলাকারী বলেন, ‘যে রেজিস্ট্রার (মানস চক্রবর্তী) অবৈধভাবে পদ আঁকড়ে রয়েছেন বলে স্বীকৃত, তিনি কোনও নির্বাচনে যদি রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা পালন করেন, তাহলে তো সেই ভোটটাও অবৈধ! আমরা মামলায় এটা উল্লেখ করেছি’।

জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা এই জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা, আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি, মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি, রেজিস্ট্রার সহ বেশ কয়েকজনকে যুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত করা হয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়, সহ সভাপতি সুশান্ত রায়, সদস্য নির্মল মাঝি, অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার স্বরূপ দত্ত, অভীক দে, শান্তনু সেন সহ বেশ কয়েকজনকে। অভিজ্ঞ আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় এই মামলা লড়ছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর