বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাগীরথী গ্রাস করছে নবাব সিরাজদৌল্লার সম্পত্তি (Nawab’s property)! গঙ্গার পাড়ে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার (Nawab Sirajuddaula) তৈরি হীরাঝিল প্রাসাদের শেষ অংশ টুকু সংরক্ষণ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)।
জনস্বার্থ মামলায় কী পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের? (Calcutta High Court)
বৃহস্পতিবার সেই মামলা উঠেছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে। এদিন হেরিটেজ রক্ষার প্রশ্নে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন চিফ জাস্টিস। আগামী সপ্তাহে রাজ্যকে অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গেই রাইটার্স বিল্ডিং নিয়েও রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘হেরিটেজের জায়গায় বড় বড় হাইরাইজ বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। পুরনো ইতিহাস রক্ষা না করে সেসব ভেঙে ফেলা হচ্ছে’! ‘যে কোনও কিছু ভেঙে ফেলা খুব সহজ। চাইলে ৪৮ ঘণ্টাতেই ভেঙে ফেলতে পারবেন। কিন্তু ফেরাতে পারবেন না।’ বলেন প্রধান বিচারপতি।
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৮ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লার সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলেছিল।” বাকি ৯ বিঘা জমি অবশিষ্ট রয়েছে। এই ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির কাছে সময় চায় রাজ্য। এই সময়ই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যেটুকু ইতিহাস আছে, সেটা রক্ষা না করতে পারলে এই ৯ বিঘাও থাকবে না। একই সাথে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের ভূমিকা, নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: টালা থানার প্রাক্তন ওসির সিমেই লুকিয়ে বড় ‘রহস্য’? CBI রিপোর্টে যা দাবি করা হয়েছে… ঘুরে যাবে মোড়?
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, নবাব সিরাজের তৈরি ওই স্থাপত্য সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এখনও অনেক পর্যটক মুর্শিদাবাদ ভ্রমণে গিয়ে ওই জায়গায় যান। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ওই জায়গার নাম রয়েছে। অথচ প্রাসাদের অবশিষ্ট অংশ রক্ষা করতে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। হেরিটেজ কমিশন হাজারদুয়ারির মত স্থাপত্য সংরক্ষণ করেছে। তবে হীরাঝিল প্রাসাদের মত ঐতিহাসিক জায়গাটি বাদ রাখা হয়েছে। এই প্রসাদের বাকি অংশটি রক্ষা করার জন্য যাতে আদালত কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় সেই আর্জি জানানো হয়েছিল।