বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মসজিদে লাউড স্পিকারে ‘নামাজ’ পাঠে অসুবিধা হওয়ার কারণে গুজরাট হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল করা হয়েছে যাতে। সেখানে রাজ্য জুড়ে মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। এই পিটিশনে হাইকোর্ট গুজরাট সরকারকে নোটিশ জারি করে জবাব চেয়েছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি আশুতোষ জে শাস্ত্রীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। নোটিশ জারি করে আদালত রাজ্য সরকারকে 10 মার্চের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বলে দিই, এই পিটিশনটি দায়ের করেছেন গান্ধীনগরে বসবাসকারী চিকিৎসক ধর্মেন্দ্র বিষ্ণুভাই প্রজাপতি। প্রজাপতি নিজের ক্লিনিক চালান। তিনি অভিযোগ করেন যে, তাঁর ক্লিনিক যেখানে রয়েছে সেখানে বিপুল সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায় বাস করে এবং তারা দিনে কয়েকবার লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান দেয়। এ কারণে তাকে নানান সমস্যায় পড়তে হয়।
আবেদনকারী বলেছেন যে, তিনি এর আগে এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনকারী অরবিন্দ প্রজাপতি পিটিশনে এলাহাবাদ হাইকোর্টের মে 2020-র সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে আজান ইসলামের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, কিন্তু লাউডস্পিকার বা মাইক্রোফোন বাধ্যতামূলক নয়।
আবেদনকারী তার আবেদনে ধর্ম পালনের সাংবিধানিক অধিকারের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, “প্রকৃতপক্ষে সংবিধানের 25 অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিহিত অধিকারগুলি জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, স্বাস্থ্য এবং ভারতের সংবিধানের তৃতীয় অংশের অধীন। কিন্তু লাউডস্পিকার ব্যবহার করে তা ক্রমাগত লঙ্ঘন করা হচ্ছে।”
শব্দ দূষণের নিয়ম উল্লেখ করে প্রজাপতি বলেন, শব্দ দূষণ আইন 2000-র বিধি 5-র অধীনে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নেওয়া ছাড়া লাউডস্পিকার বা পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায় অনুমতি ছাড়াই মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে। তাই এ বিষয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা প্রয়োজন।
PIL Seeking Ban On Using Of Loud Speakers In Mosques: Gujarat High Court Issues Notice To State Govt @ISparshUpadhyay https://t.co/pr6164fX54
— Live Law (@LiveLawIndia) February 15, 2022
প্রজাপতির আইনজীবী বলেন, আপনি যদি ইসলামে বিশ্বাস না করেন, তাহলে অন্যকে সেই শব্দ শুনতে বাধ্য করা যাবে না। আইনজীবী আরও বলেন, গণপতি উৎসব, নবরাত্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাহলে মসজিদে প্রার্থনা কেন নয়।