বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঘটনার ঘনঘটা চলছে ‘পিলু’তে (Pilu)। মুখোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সুরমণ্ডল সহ সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছে মল্লার। উপরন্তু আদিত্য নারায়ণের মেয়ে রঞ্জাকেও ফুঁসলিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে সে। সিঁদুর দানের ঠিক আগের মুহূর্তে পৌঁছালেও অঘটন আটকাতে পারে না পিলু আহির।
সিরিয়ালের (Bengali Serial) গল্প অনুযায়ী, চন্দননগরের প্রসিদ্ধ সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান মুখোপাধ্যায় দের সুরমণ্ডল। তাদের সঙ্গে মির্জাপুরের বসু মল্লিক পরিবারের বহু পুরনো দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি সুরমণ্ডলের সকলে জানতে পেরেছে পিলু আসলে পণ্ডিত আদিত্য নারায়ণের নিজের মেয়ে। পিলুর মা কল্যাণী বেঁচে আছে শুনে খুশি সুরমণ্ডলের সকলেই।
শুধুমাত্র আদিত্য নারায়ণের দ্বিতীয় স্ত্রী ঋজুলা ও তাঁর মেয়ে রঞ্জা সহ্য করতে পারছে না পিলুকে। আহির ও পিলুকে আলাদা করার চেষ্টাও ব্যর্থ হলে শেষে আহিরকে ছোট করার পরিকল্পনা করে মা মেয়ে। মল্লারকে সুরমণ্ডলে ডেকে আনে তারা। অথচ জানতেও পারে না, আসলে খাল কেটে কুমির ডেকে আনছে তারা।
এই মল্লার আসলে বসু মল্লিক পরিবারের ছেলে। সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে পরিচয় ভাঁড়িয়ে সুরমণ্ডলে ঢোকে মল্লার। মনে তার প্রতিশোধের আগুন। সুরমণ্ডলকে ছিনিয়ে নিয়ে বসু মল্লিকদের কাছে রাখতে হবে। ষড়যন্ত্র করে প্রথমে ঋজুলার কাছে ভাল সাজে মল্লার। কৌশলে সম্পত্তি হস্তান্তরের কাগজে সইও করিয়ে নেয় তাকে দিয়ে।
তারপর রঞ্জাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে নেয়। অন্যদিকে পিলুর সন্দেহ হওয়ায় আহিরকে নিয়ে সে পৌঁছায় তদন্ত করতে। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে সমস্ত ষড়যন্ত্রটা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মল্লার রঞ্জা যখন বিয়ের পিঁড়িতে তখনি সমস্ত প্রমাণ নিয়ে সুরমণ্ডলে ঢোকে পিলু আহির।
সাম্প্রতিক প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, পিলু বিয়েটা আটকানোর চেষ্টা করলেও শেষমেষ ব্যর্থ হয়। নিজের করা কারসাজিটা স্বীকার করেই সবার চোখের সামনে রঞ্জার সিঁথি রাঙিয়ে দেয় মল্লার। প্রোমো দেখেই স্পষ্ট আগামীতে বেশ টানটান উত্তেজনার পর্ব থাকবে পিলুতে।