আনারস একটা খুবই জনপ্রিয় ফল। মূলত বর্শাকালে আমরা এই ফল খেয়ে থাকি । মুখের স্বাদের পাশাপাশি আমরা এই ফল অনেক উপকারের জন্যেও খেয়ে থাকি। আর আনারস আমরা ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি আচার এবং চাটনি হিসেবেও খেয়ে থাকি। আনারসের বেশ কিছু উপকারিতা আছে। আনারস জ্বর ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী। ভিটামিন সি থাকার কারনে এটি সর্দি , কাশির উপসম হিসেবে খাওয়া যেতেই পারে।
আর বারো মাস খেলে খুবই উপকার পাওয়া যাবে। প্রচুর ক্যালরি আমাদের দেহে শক্তি জোগায়, তাই যারা একটু দুর্বলতায় ভুগছে তারা আনারস খেতেই পারে। আর হজমেও সাহায্য করে আনারস, যাদের পেটের গোলমাল, গ্যস্টড়িক থাকে তারা খেতে পারে এই ফল। আনারস গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিসজাতীয় অসুখগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আনারস চোখের জন্য খুব উপকারি তাই যাদের চোখের সমস্যা আছে তারা মাঝে মাঝেই আনারস খেতে পারেন।
ক্যালসিয়াম থাকার জন্য আনারস হাড় মজবুত রাখে, আর তার পাশাপাশি আনারস খেলে ভালো থাকবে মাড়ি আর দাঁত । ক্যালসিয়াম দাঁতের জন্য উপকারী, তাই আনারস রোজ সকালের খাবারের পর বা দুপুরে খাওয়া যেতেই পারে। ত্বকের অসুখ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে আনারস উপকার দেয়, সমস্যা থেকে রেহাই দেয় ।
দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃৎপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ড আমাদের শরীরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন অংশ ,তাই আনারস খাওয়া যেতে পারে।প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে আনারসে। যা হাড় ও কানেক্টিভ টিস্যুকে করে শক্তিশালী। কৃমি দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে আনারস খাওয়া উচিত। তাই আনারস পেটের জন্য খাওয়া যেতেই পারে।ীবার মাথায় রাখতে হবে আনারস রান্না করে না খেয়ে, চাটনি বা আচার করে না খেয়ে কাচা খাওয়া উচিত। এতে উপকারিতা বজায় থাকে।