নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর ঘরে ফিরলেন পিংলার ‘বেপাত্তা’ গৃহবধূ, জানালেন প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর কারণ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুর বাড়ির লোকজন, সেই কারণেই প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছাড়েন- পুলিশের হাত পাকড়াও হওয়ার পর এমনই অভিযোগ করলেন পিংলার (pingla) ‘বেপাত্তা’ গৃহবধূ। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৩ দিন পর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করল পিংলা থানার পুলিশ।

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে গত ১৫ ই ডিসেম্বর একই সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার একই বাড়ির দুই বউ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। সঙ্গে আবার নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশকেও। বাড়িতে থেকে গোপনেই প্রেমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই দুই জা।

bbbkvv

কিন্তু প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলে, অর্থের টানাটানিতে ফিরে আসতেই তাঁদের আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। স্বামী দূরে থাকায় নিঃসঙ্গতা গ্রাস করেছিল বলে জানিয়েছিলেন দুই বউ। যে কারণেই বাড়িতে আসা মিষ্টিভাষী মিস্ত্রিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।

আর এর ঠিক পরই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোবর্ধনপুরের দনিচক এলাকা থেকে একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই এলাকার বাসিন্দা গোপাল মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে থাকেন। বাড়িতে থাকেন তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা মাইতি এবং বছর পাঁচেকের এক ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন সুদেষ্ণা। দীর্ঘক্ষণ পর বাড়িতে না ফিরলে, তাঁকে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বোনকে খুঁজে বের করতে সুদেষ্ণার দাদা শুভঙ্কর সামন্ত ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন। আবার সুদেষ্ণার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়েরও করা হয়।

এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরে বাবাকে সুদেষ্ণা জানান, ‘মেদিনীপুরের প্রেমিককে বিয়ে করছি’। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গৃহবধূ সুদেষ্ণা মাইতি ও তাঁর ছেলেকে গড়বেতা থানার কাদরা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান পিংলা থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল। সুদেষ্ণার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর অত্যাচার করত, তাই সেখানে ফিরতে নারাজ সে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর