বাংলা হান্ট ডেস্ক: যখন পিং টেস্টকে ঘিরে কলকাতার নন্দন কাননে চলছে এক বিশাল উৎসাহ। বাংলাদেশকে 106 রানে গুটিয়ে ভারত চালকের আসনে। বিরাট কোহলির শতরান যেন আরো অক্সিজেন যুগিয়েছে দলের ক্ষেত্রে তখনই আবার মহারাষ্ট্রের ভোটের খেলায় মেতেছে রাজনৈতিক দলগুলো। আর সেখানে কংগ্রেসকে প্রায় ইনিংসে হারিয়ে দলের জয় ছিনিয়ে নিল অমিত শাহ।
3 রাজ্যের ভোটকে ঘিরে প্রথম থেকেই একটা জোট এবং কঠিন ভাবে লড়ার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই যেন আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনীতির অন্দরমহলে।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল মহারাষ্ট্রে। রাজনৈতিক উত্তাপ ধীরে ধীরে করে প্রশমিত হচ্ছিল। শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস মিলে এখানে সরকার গঠন করবে বলে নয়া জোটের তরফে জানানো হয়। সবাইকে অবাক করে জোট বাঁধল বিজেপি ও এনসিপি। শপথ নেওয়ার পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারকে ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।কিন্তু ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা সত্যি বিরল নয়।
পটু পরিবর্তন ঘটল মহারাষ্ট্রের পাটিগণিত এদিন সকালে রাজ্যপাল ভগত সিংহ কেশিয়াড়ির উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে তাই দ্বিতীয়বারের জন্য আবার সরকার গঠনের পথে হাঁটল বিজেপি, এর সঙ্গে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন এনসিপি অজিত পাওয়ার। শুক্রবার সন্ধেবেলায় এনসিপি কংগ্রেস এবং শিবসেনা জোটের বৈঠকের পর এক প্রকার নিশ্চিত ছিল উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন এমন কি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছিল ,। আর সেখান থেকেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় এই জোট। শরদ পাওয়ারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু সকাল হতেই চিত্র বদল। ভোরের আলো উঠতেই দেখা গেল মহারাষ্ট্র সত্যি তার বিধানসভার চিত্রটি পাল্টে দিয়েছে।।