বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তাই এখন অধিকাংশ দেশের মানুষ বিকল্প জ্বালানির দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সিএনজি (CNG) চালিত যানবাহন। তবে পর্যাপ্ত সিএনজি স্টেশন না থাকায় অনেক সময় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
তবে এই সমস্যার এবার দ্রুত সমাধান হতে চলেছে।দুর্গাপুর পর্যন্ত এতদিন ছিল পাইপ লাইন গ্যাস সুবিধা। কলকাতায় গ্যাস আনার ক্ষেত্রে যানবাহনের মাধ্যমে তা নিয়ে আসতে হত দুর্গাপুর থেকে। তবে এক্ষেত্রে সময় লাগত বেশি। সময় মতো জ্বালানি না পেয়ে বহু মানুষ সমস্যায় পড়তেন। তবে খুব দ্রুত কলকাতায় পৌঁছতে চলেছে গেইলের পাইপলাইন (PNG Gas in Kolkata)।
আরোও পড়ুন : অমৃত ভারত স্কিমে সেজে উঠছে বর্ধমান স্টেশন, নয়ারূপ দেখলে তাক লেগে যাবে
বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, গেইলের পাইপ লাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। পূর্ব বর্ধমান থেকে হুগলির রাজারামবাটি হয়ে গনেশপুর পর্যন্ত ১৩৩ কিলোমিটার পাইপ লাইন পাতার ক্ষেত্রে ৮০০ মিটারের জমি জট রয়েছে এক জায়গায়। জমি জট মিটে গেলে পাইপলাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ হবে।
আরোও পড়ুন : দীঘা যাওয়ার আগে দশবার ভাবুন! রাতে এই সময়ের মধ্যে হোটেলে না ফিরলেই কড়া শাস্তি
তারপরেই তিলোত্তমার মানুষেরা নতুন সুবিধা পাবেন।দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত পাইপলাইন পাতলে পনেরোটি জেলা কভার করা যাবে। এক্ষেত্রে কলকাতার পাশাপাশি আরও ১৫ টি জেলার বাসিন্দারা এই সুবিধা পাবেন। পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
গেইল (ইন্ডিয়া) লিমিটেড ও গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের যৌথ সংস্থা বেঙ্গল গ্যাসের বর্তমানে ১২টি সিএনজি স্টেশন আছে। তবে পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হলে সেই সংখ্যাটি গিয়ে পৌঁছাবে পঞ্চাশে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে সেটি ছোঁবে ১০০। তবে, কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।