বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবশ্যই রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে, যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তো নাগরিকতা সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সোম মঙ্গল বুধ তিনদিন ব্যাপী শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে শাসকদলের তরফে। এ বার রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির ভাইপো পিরজাদা আবাস সিদ্দিকী মুখ খুললেন।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বিজেপির সমালোচনা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাকে ঠিক দু মুখো, বলে উল্লেখ করেছেন পাশাপাশি তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত না হওয়ার কারণেই যদি মুখ্যমন্ত্রী এমন ভূমিকা নেন সেক্ষেত্রে সকলকে পাশে পাওয়ার আবেদন জানাতে পারেন দিদি এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন সিদ্দিকী।
এদিন আব্বাস সিদ্দিকি রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাশাপাশি কে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সপক্ষে এবং কারা বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানানোর কথাও আবেদন করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। এমন কি যেহেতু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইতিমধ্যে প্রণয়ন হয়েছে তাই বিরোধিতা নয় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে হবে এবং বিধানসভায় আইন পাশ করতে হবে বলে জানান আব্বাস সিদ্দিকী। তবে আব্বাস সিদ্দিকির এই ভিডিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছনোর পর নাম না করে বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করেন দলনেত্রী।
অন্যদিকে উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পীরজাদা সিদ্দিকি বলেন বাস্তু ও উদ্বাস্তু দের চেনার কোনো উপায় নেই। কারণ, এমন অনেকেই আছেন যারা কমদিনের জন্য এদেশে এসে নিজেদের থাকার একটা নথি বের করেছেন। অনেকেই আবার দীর্ঘদিন থেকে এদেশে এসে বাস করেও নিজেদের নাগরিকত্বের পরিচয় পত্র বার করতে পারেননি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী যদি বিধানসভায় থাকার বিল পাশ করতে পারেন সেক্ষেত্রে রাজ্যকে ঠান্ডা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।