বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন পেরিয়ে ভারতেও (india) মহামারি সৃষ্টি করেছিল মারণ ভাইরাস করোনা (covid-19)। বর্তমান সময়ে কিছুটা দমে গেলেও, আবারও নতুন করে শুরু হচ্ছে এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। তবে দেশের এই সংকটের মুহূর্তে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন রেলকর্মীরা। তাদেরকে কুর্নীশ জানিয়ে এক সম্মান মূলক চিঠি লিখলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (piyush goyal)।
একটা সময়ে গোটা বিশ্ব থেমে গেলেও রেলকর্মীরা থেমে থাকেননি। করোনা সংকটের মধ্যে জীবনের তোয়াক্কা না করেই তাঁরা পরিষেবা দিয়ে গেছেন। আটকে পড়া শ্রমিক থেকে শুরু করে পর্যটক, সকলে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে সচল রেখেছিল রেল পরিষেবা। সেসব দিনের কঠিন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভারতের ১৩ লক্ষ রেলকর্মীকে কুর্নিশ জানিয়ে শনিবার এক চিঠি লেখেন রেলমন্ত্রী।
চিঠিতে তিনি লেখেন, রেল কর্মীদের এক নিষ্ঠতা, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের জন্য গোটা দেশবাসী আজ গর্বিত। তাদের পরিশ্রমেই আজ দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিকের স্রোতে ফিরেছে। যখন গোটা দেশ গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে, তখন মানুষের মুখের অন্ন, চিকিৎসার সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধ পথ্য, বস্ত্র, খনিজ সমস্ত কিছুই পৌঁছে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
কাজের তাগিদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে চালু করা হয়েছিল শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। প্রায় ৬৩ লক্ষ শ্রমিক ওই বিপদের দিনেও তাদের পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে হাসি মুখে কাটাতে পেরেছে। সেইসঙ্গে ফিরিয়ে এনেছে ভিন্ন রাজ্য থেকে নিজের রাজ্যে ফিরতে চাওয়া নাগরিকদের। পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থাও করেছিল রেল।
पिछले पूरे वित्त वर्ष में रेल परिवार ने अपनी कर्मठता, जिम्मेदारी का निर्वहन, और सेवा से कोविड का जो सामना किया, उसके लिए मैं ह्रदय से आप सभी का आभारी हूं।
आवश्यक वस्तुओं की आपूर्ति, श्रमिक स्पेशल ट्रेन, सेनिटाइजर, PPE किट निर्माण जैसे अनेकों कामों से आपने देश का दिल जीता है। pic.twitter.com/85fXFW9iEC
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) April 3, 2021
রেলকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা আবহে একদিনের জন্যও ছুটি নেননি রেলকর্মীরা। তাদের পরিশ্রমের ফলেই আজ রেল সর্বাপেক্ষা দেশের শক্তিশালী সম্পদে পরিণত হয়েছে। সকল রেলকর্মীরা যদি এইভাবেই একনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করে যান, তাহলে একদিন রেল পরিষেবা বিশ্বের দরবারে উদাহরণ হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি অর্থনীতির এক ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়াবে’।