বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবিরের ব্যাপক ভরাডুবির পর রাজ্যে শাসক শিবিরের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। তাই তো লোকসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দু বছর হাতে থাকলেও সময়ের পরোয়া না করেই তড়িঘড়ি রণনীতি সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসক শিবির। আর তার পর থেকেই ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে যে কোনও রকমের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন বছরের শুরুতেই কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে পুরসভা নির্বাচনের জন্য। তার পরেই আবার বড়সড় যুদ্ধ তাই পুরসভা নির্বাচনের আগে দিদিকে বল নিয়ে এক দফা রিপোর্ট করে ফেলেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাক। যদিও এখনও অবধি রাজ্য সরকারের দিদিকে বলো কর্মসূচির 20 শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে কিন্তু এরই মধ্যে 80 শতাংশ তৃণমূল বিধায়কের ব্যর্থতা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাক।
সম্প্রতি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোর একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। আর সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ বিধায়ক দলের নির্দেশ মতো কাজ করেনি অর্থাত্ স্থানীয় জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
গত বছর দিদিকে বলে কর্মসূচি শুরুর সময় বিধায়কদের স্থানীয় নেতা কর্মীর বাড়িতে রাত কাটানো থেকে শুরু করে এলাকার সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে তাঁদের সমস্যা সোনার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু দেখা গিয়েছে অধিকাংশ বিধায়ক নাকি ফাঁকি দিয়ে সেই কাজ করেনি। অর্থাত্ এক কথায় বলতে গেলেই রিপোর্ট বলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাদ যেতেই পারে সেই সমস্ত বিধায়করা।