বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিমানযাত্রার (plane) সময় বহু ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যাত্রী ও বিমানচালকদের। অনেকের জীবনেই ঘটেছে এমন ঘটনা। মাঝ আকাশে বিমান কোনও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েছে। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে বেঁচে ফিরে এসেছে এমন নজিরও আছে প্রচুর। সেটা অধিকাংশ সময়েই বিমানচালকের দক্ষতার জন্য।
সম্প্রতি এমনই আরেকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঝ আকাশে বিমানের ওপর বজ্রপাত (lightning) হচ্ছে। এই ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়।
লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরনের আগেই মাঝ আকাশে বজ্রপাত হয় বিমানের ওপর। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সেই শিহরন জাগানো ঘটনা। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীও কেঁপে উঠেছেন। তিনি প্রার্থনা করেছেন, বিমানের কোনও যাত্রীর যেন ক্ষতি না হয়। জানা গিয়েছে, ভাগ্যক্রমে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে নিরাপদেই অবতরন করে বিমানটি।
কিন্তু এমন ভয়ানক বজ্রপাতের কবলে পড়েও বেঁচে কিভাবে গেল বিমানটি? আসলে বজ্রপাতের কথা চিন্তা করেই বানানো হয় বিমান। এর বহিরাবরনটি বজ্রনিরোধকের মতো কাজ করে। বিমানের বাইরের আবরনের মধ্যে থাকে একটি অতিকায় তামার জালের তৈরি খাঁচা। এটাকে বিমানের কাঠামো বলা চলে। এই খাঁচাই বজ্রনিরোধক হিসাবে কাজ করে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কোনও বিদ্যুৎবাহী জালের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে জালের অভ্যন্তরভাগে কোনও প্রভাব পড়ে না। এই পদ্ধতিই কাজে লাগানো হয় বিমান তৈরির সময়। বিশেষজ্ঞরা জানান, কয়েক লক্ষ কোটি ভোল্ট বিদ্যুৎও বিমানের বাইরের তারজালির উপর দিয়ে যেতে পারে। বিশেষ তাপরোধক ব্যবস্থা থাকায় বিমানের অভ্যন্তরে বজ্রপাতের তাপও পৌঁছায় না।
পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন মুলুকে প্রতি বছর একটা না একটা বিমান বজ্রপাতের কবলে পড়ে। তবে এর জন্য বিমান দুর্ঘটনার কথা কখনও শোনা যায়নি।