বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচ্ছা যদি হঠাৎ দেখেন হাওড়ায় গঙ্গার বুক চিরে নামছে আকাশ পথে উড়ে আসা একটা বিমান (Plane), তাহলে কি অবাক হবেন? হয়তো এখন হলে অবাক হবেন! কিন্তু জানেন, এই দৃশ্য আজ থেকে সত্তর বছর আগে সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা সহ আশেপাশের বহু মানুষ। হ্যাঁ, গঙ্গায় আগে উড়োজাহাজ অবতরণ করত। জলপথে ছিল এয়ার বেস (Air Base)।
গঙ্গার বুকে প্লেনের (Plane) অবতরণ
দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় তখন অবাধ চলাচল ছিল প্লেনের (Plane)। মাঝেমধ্যেই স্থানীয়রা দেখতে পেতেন গঙ্গা বুকে ভেসে আসছে প্লেন। সে এক অন্য দৃশ্য। আসলে সে সময় গঙ্গাবক্ষে চালু ছিল আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। হ্যাঁ, তারই সাক্ষী ছিল বালি, দক্ষিণেশ্বর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য ভাইরাল। এক গবেষক প্রকাশ্যে এনেছেন গঙ্গাবক্ষে আন্তর্জাতিক এই বিমান পরিষেবার কথা।
আরোও পড়ুন : আরজি করে ভাঙচুর! হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের! মামলা হতেই বিরাট নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
শুধু প্রকাশ্যে আনাই নয়, সেই সময়ের নানা প্রামাণ্য নথিও তিনি দেখিয়েছেন। তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই ইতিহাসের কোনও অস্তিত্ব নেই। শুনে শুধু গল্প কথাই মনে হবে। তবে এই গল্পকথা যে একদিন বাস্তব ঘটনা ছিল তা ওই গবেষক দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন গঙ্গার (The Ganges) বুকে এক সময় নিয়মিত প্লেন (Plane) অবতরণ করতো। আবার এখান থেকে উড়ে যেত দেশ-বিদেশের উদ্দেশ্যে।
আরোও পড়ুন : এক এপিসোডেই কোটিপতি! কপিল শর্মার পারিশ্রমিক শুনলে ভিরমি খাবে আমজনতা!
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে প্রথম কলকাতার (Kolkata) বুকে গড়ে উঠেছিল একটি সি প্লেন বেস। দমদম এয়ারড্রোমে নামত ল্যান্ডপ্লেন, আর হুগলি নদীতে, উইলিংডন ব্রিজের যা বর্তমান বালি ব্রিজ নামে খ্যাত সেখানে নামত সি প্লেন। তৎকালীন কলকাতা শহর বা এই রাজ্যের একমাত্র আন্তর্জাতিক সি প্লেন বেস ছিল এটাই। বিভিন্ন ব্রিটিশ আমলের নথি থেকে জানা যায়, যা ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত পরিষেবা দিয়েছিল বলে।
তবে সেই প্লেনগুলি (Plane) আজকের ল্যান্ড প্লেন গুলির মত দেখতে নয়, সেগুলি ছিল অনেকটা সি প্লেন বা ফ্লায়িং বোটের মতো। এই ফ্লাইং বোটের মতো দেখতে প্লেন গুলি স্থলপথে অবতরণ করতে পারে না। জলপথেই অবতরণ করে। এই প্লেনগুলোর অবতরণের জন্য প্রয়োজন হ্রদ বা নদী। জলভাগের যে স্থানে ল্যান্ড করত, সেখানটাকে বলা হত সি প্লেন বেস।