কুতুবমিনারে ছিল ২৭ টি হিন্দু মন্দির, সেটিকে হিন্দু প্রার্থনাস্থল ঘোষণা করার দাবি নিয়ে আদালতে মামলা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর এক আদালতে কুতুব মিনারের (Qutub Minar) মধ্যে মন্দির থাকার দাবি করে সেখানে হিন্দুদের পুজো করার অধিকার দেওয়ার জন্য আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, কুতুব মিনারের অন্দরে হিন্দু আর জৈন মন্দির আছে। আবেদনে বলা হয়েছে যে, কুতুবমিনারের জায়গায় আগে ২৭ টি মন্দির ছিল যেখানে প্রধান রুপে জৈন তীর্থঙ্কর ঋশভদেব ছাড়াও ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি স্থাপিত ছিল। আর সেই মন্দির গুলোকেই ভেঙে মসজিদের নির্মাণ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

এছাড়াও ভগবান গণেশ, শিব, মা পার্বতী আর হনুমান সমেত অন্য দেব দেবীদের মোট ২৭ টি মন্দির থাকার দাবি করা হয়েছে। আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, এই সমস্ত মন্দিরের প্রতিমা গুলোকে শুধু পুনরায় স্থাপিত করতে হবে না, সেখানে হিন্দুদের পুজো দেওয়ার অধিকার দেওয়া সমেত কুতুবমিনারে রোজ পুজো পাঠ করার অনুমতি দিতে হবে।

আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, আদালত কেন্দ্র সরকারের ট্রাস্ট আইন, ১৮৮২ অনুযায়ী একটি ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দিক, আর সেই ট্রাস্টকে কুতুবমিনারে মন্দির আর প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হোক। এর সাথে সাথে কুতুব মিনারের সামনে যেই লোহার পিলার আছে, সেটিকেও মন্দিরের অংশ ঘোষণা করে ট্রাস্টের হাতে সেটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হোক। জানিয়ে দিই, কুতুবমিনারের ভিতরে কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ আছে, আর সেটিকে নিয়েই নতুন করে বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।

আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, হিন্দুদের সেখানে পুজো করতে দিতে হবে, হিন্দুদের সংস্কৃতি পালন করতে দিতে হবে আর দর্শনের জন্য উচিৎ ব্যবস্থা করে দিতে হবে। দাবি করা হয়েছে যে, মুহাম্মাদ ঘুরির (Muhammad Ghori) অন্যতম সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবেক (Qutb al-Din Aibak) সেখানে থাকা শ্রী বিষ্ণু হরি মন্দিরকে ভেঙে ফেলেছিল। এরপর সে মন্দিরের জায়গায় অবৈধ রুপে নির্মাণকাজ শুরু করে। আবেদনকারী জানান, মন্দির সেখানেই ছিল যেখানে কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ আছে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর