বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২ মে রাজ্যে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি এবং বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ফলাফল ঘোষণা হতেই রাজ্যের চারিদিকে শাসক দল আশ্রিত গুণ্ডারা সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এমনকি অনেক মানুষ ঘর ছেড়ে ভিন রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে যান। সেখানে একদিন এলাকা পরিদর্শন করে পরের দিন বর্ডার পেড়িয়ে অসমে যান।
অসমের ধুবড়ী জেলায় একটি ক্যাম্পে কোচবিহার থেকে বহু মানুষ প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের সুরক্ষিত বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। এরপর আবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে গিয়ে তিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নন্দীগ্রাম থেকে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারির সুরে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমাকে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে বাধ্য করবেন না।”
আরেকদিকে, রাজ্য বিজেপির বহু নেতা-কর্মী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসক লাগু করার দাবি তুলে আসছেন। যদিও, সরাসরি বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার জন্য কোনও দাবি করা হয় নি। আরেকদিকে, শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপি এবং রাজ্যপালের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে বলা হয়েছে যে, বিজেপি নিজেদের হার মেনে নিতে না পেরেই এরকম মিথ্যে অভিযোগ করছে।
আর এরই মধ্যে এবার সুপ্রিম কোর্টে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি নিয়ে মামলা দায়ের হল। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। ঘনশ্যাম উপাধ্যায় নামের এক আইনজীবী এই আবেদন করেছেন। তিনি আবেদন করে জানিয়েছেন যে, রাজ্যে ১৬ জন বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকের হত্যা নিয়ে তদন্ত করার জন্য একটি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হোক।