বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রামনবমী (Ramanavami) হল হিন্দুদের একতী ধর্মীয় উৎসব। অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রাণী কৌশল্যা সন্তান দেবতা রামের জন্মগ্রহণ উদযাপন করা হয় এই রামনবমীর মাধ্যমে। ভগবান শ্রীরাম হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। ভগবান রাম বিষ্ণুর অবতার হলেও তিনি মূলত দেবাদিদেব শিব-এর আরাধনা করতেন। রামের জন্মতিথি এই পবিত্র দিন শুক্লপক্ষের নবম দিনে পড়ে। অর্থাৎ এই দিনটি হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে চৈত্র মাসের নবম দিন। তাই রামের জন্মের এই দিনটিকে হিন্দুরা রামনবমী হিসাবনে ধুমধাম করে পালন করেন।
হিন্দুদের মহাতীর্থস্থান ভবানীপুর, বগুড়া, বাংলাদেশে এই দিনে প্রতিবছর রামনবমী উপলক্ষ্য়ে ভক্ত সমাগম হয় এবং মেলা বসে। রাম মন্দিরে রামের একটি বিশেষ মূর্তি দেখা যায়। যেখানে ভগবান রামের পাশে রয়েছেন তার ভাই লক্ষ্মণ, স্ত্রী সীতা ও ভক্ত হনুমান। প্রচলিত এই মূর্তিকেই বলা হয় “রাম পরিবার”। বিশেষত হিন্দু মন্দিরে এই “রাম পরিবার” মূর্তিরই পূজা করা হয়। তাই রামনবমী তিথিতে ভগবান রামচন্দ্রের জন্ম-উৎসব মহা সমারোহের সহিত পালন করা হয়।
এই দিনটিতে প্রতি বছর অযোধ্যা, রামেশ্বরম এবং সীতামারি বিহারে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কথিত আছে এই দিনে ভগবান শ্রীরাম পঞ্চমন্ত্রিত স্নান করেন। রামনবমীতে খুব সকালে উঠে স্নান করতে হয় এবং পরিষ্কার পোশাক পড়তে হয়। এবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ২ রা এপ্রিল এই তিথি পড়েছে। এবং শুভক্ষণ অর্থাৎ পূজার সময় থাকবে সকাল ১০ টা বেজে ৩৮ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
স্নান সেরে ভগবান রাম, মাতা সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তিতে রোলি তিলক অর্পণ লাগাতে হয়। তারপর ভগবান শ্রী রামকে ভক্তি ভরে ভাত, ফুল, ঘণ্টা এবং শঙ্খ উত্সর্গ করতে হয়। এবং সেই সঙ্গে শুদ্ধ মনে ভগবান রামের উপাসনা করতে হয়। রামনবমীর দিনে শ্রী রামের মন্ত্রগুলি জপ করতে হয়। এবং এর সাথে রামায়ণ এবং রামচরিতমানস পাঠ করতে হয়। মন্দিরে উপস্থিত সকল দেবতার আরতি করতে হয়। কথিত আছে ভগবান শ্রী রামের জন্মের এই দিনে তাঁর কাছে চিংড়ি দুলান এবং গরীব এবং বাজরা দরিদ্র ব্যক্তি বা ব্রাহ্মণকে দান ধ্যান করতে হয়।