বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডায় ইন্টারন্যাশনাল ডেয়ারি ফেডারেশনের ওয়ার্ল্ড ডেয়ারি সামিটের উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতের দুগ্ধজাত খাদ্যের গুণাগুণ বর্ণনা প্রসঙ্গে ভারতে পশুপালনের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানালেন বিশ্বকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলির মতো যন্ত্র নির্ভর নয়, ভারতের দুগ্ধ প্রকল্পের আসল শক্তি হল ক্ষুদ্র কৃষকরা। আজ ভারতের দুগ্ধ সমবায়ের ন্যায় এত বিশাল ব্যাপ্তি সারা বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
বিশ্বের অতিথিদের সামনে গুজরাটের কচ্ছে পাওয়া মহিষের গুণাগুণও শোনালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতের দুগ্ধ প্রকল্পের একটি বিশেষত্ব হ’ল স্থানীয় জাতের গরু এবং মহিষের প্রকৃতি। এরা প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বেঁচে থাকার জন্য তৈরী। কচ্ছের মরুভূমি এবং সেখানকার অবস্থার সাথে মিশে গেছে তারা। দিনে খুব গরম ও রোদের কারণে এই মহিষগুলি রাতে চড়তে বের হয়।
আরও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে মোদি বলেছেন, “আমাদের বিদেশি বন্ধুরা অবাক হবেন জেনে যে সেই সময় মহিষের সাথে তাদের পালকরা যানা ।তারা নিজেরাই গ্রামের কাছে নির্মিত চারণভূমিতে যায়। মরুভূমিতে জল কম, তাই খুব অল্প জলেই মহিষেরা বেঁচে থাকে। রাতে 10-15 কিলোমিটার যাওয়ার পরেও সকালে মহিষগুলি নিজেই ফিরে আসে। কারো মহিষ হারিয়ে গেছে বা ভুল বাড়িতে চলে গেছে এমন কথা খুব কমই শোনা যায় এখানে।”
মোদি জানান, গরুর মধ্যে গির গরু, সাইওয়াল, রাঠি, কাঙ্করাতে, ধরপারকার, হরিয়ানার এমন অনেক গরুর জাত যা ভারতের দুগ্ধজাত প্রকল্পকে অনন্য করে তুলেছে। ভারতীয় জাতের বেশিরভাগ প্রাণীই প্রতিকূল আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেয় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।