বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী তিনি। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরেন সাধারণ মানুষের মতোই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সেই ‘সাধারণ’ রূপই প্রকাশ্যে এল আরও একবার। আর পাঁচজন যাত্রীর মতোই টিকিট কেটে মেট্রো সফর করলেন তিনি।
একাধিক কর্মসূচি নিয়ে রবিবার সাত সকালে মহারাষ্ট্রে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন থেকে শুরু করে নাগপুর মেট্রো রেল প্রকল্পের প্রথম ধাপেরও উদ্বোধন করেন মোদি। নবনির্মিত মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধি মহামার্গ’। এই এক্সপ্রেসওয়েরও উদ্বোধন করবেন আজই।
এদিন সকালে নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নাগপুর-বিলাসপুরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রার শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও। এরপরে তিনি পৌঁছন নাগপুর মেট্রো প্রকল্পের প্রথম ধাপের উদ্বোধন ও দ্বিতীয় ধাপের শিলান্যাস করতে। এই দ্বিতীয় ধাপের মেট্রো প্রকল্পের জন্য ৬৭০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় হবে।
এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদি ফ্রিডম পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে খাপরি স্টেশন অবধি মেট্রোয় সফর করেন। একজন সাধারণ যাত্রীর মতোই প্রধানমন্ত্রী টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন এবং তারপরে মেট্রোয় উঠে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রো সফর করেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও। মেট্রোয় যাত্রীদের সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেন তিনি।
কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে, দীর্ঘক্ষণ যাত্রীদের সঙ্গে গল্প করেন প্রধানমন্ত্রী। শহরের অবস্থা, সরকারি পরিষেবা সম্পর্কেও জানতে চান। মেট্রোয় উপস্থিত পড়ুয়াদের সঙ্গে গল্প করতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি নাগপুর মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদর্ভে এক সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১,৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের রেল প্রকল্পের সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নাগপুরের ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন। তারপর শহরের রেলস্টেশনে যাবেন। সেখানে তিনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পতাকা উত্তোলন করেন। গোয়া রওনা হওয়ার আগে দিনের বেলায় শহরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মোদি।