‘সংস্কৃতির পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গ’, ত্রিবেণীর কুম্ভস্নান নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) মুখে বাংলার প্রশংসা। রবিবার নিজের ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে অভিহিত করলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের (Maha Kumbh) প্রশংসাও উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।

বঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নান নিয়ে কথা বলেন মোদী। আমেরিকা নিবাসী এক ভারতীয় পঞ্চম বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই আমেরিকা নিবাসী তাকে চিঠির মাধ্যমে বাংলার কুম্ভস্নানের কথা জানিয়েছেন। সেই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, বহু পুরনো ঐতিহাসিক বাংলার এই কুম্ভস্নান।

অনুষ্ঠানে কুম্ভস্নান নিয়ে এদিন নিজের আক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তার কথায়, “স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এই কুম্ভস্নান ফের শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র দু’বছর আগে স্থানীয় মানুষ ও কুম্ভস্নান পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে এই উৎসব আবার শুরু হয়। ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানকে কেন্দ্র করে বাংলার প্রচুর রীতিনীতি, সংস্কৃতি উঠে এসেছে।”

প্রায় ৭০০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে ছিল এই রীতি। একথাও এদিন তুলে ধরেন মোদী। হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার ভূয়সী প্রশংসার বিষয়টি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়ের নেতৃত্বে ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরাসি (FLN) রিপোর্ট অনুযায়ী, বুনিয়াদি পাঠে সমগ্র দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ।

narendra modi 7

১০ বছর বয়সির পড়ুয়াদের অক্ষর ও সংখ্যা পরিচিতির নিরিখে ভারতবর্ষের সকল রাজ্যের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা (Primary Students)। পাশাপাশি রিপোর্ট অনুযায়ী সাধারণ স্বাস্থ্যের দিক থেকেই জাতীয় গড়ের তুলনায় ভালো অবস্থায় আছে এই পড়ুয়ারা।এই নিয়ে গতকাল রাজ্য ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জয়গান করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে, রবিবারই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল রাজ্যের প্রশংসা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর