বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মন্দির, ভারতের (india) ইতিহাসে ঐতিহ্যশালী মানুষের ভক্তি, বিশ্বাসের, আস্থার, ভরসার স্থল হল মন্দির। বিভিন্ন মন্দিরের জন্য ইতিহাসের পাতায় ভারত বেশ প্রসিদ্ধও রয়েছে। তবে ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যাবে, প্রাচীনকালে ভারতের এই ঐতিহ্যকেই নষ্ট করতে চেয়েছিল মুঘলরাজরা। তবে এবার সেই সকল মন্দির এক এক করে নতুন করে সজ্জিত করার কাজ লেগে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)।
গুজরাটের সোমনাথ মন্দির, অযোধ্যার রাম মন্দির থেক শুরু করে বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, মোঘলদের আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরগুলোকে এবার পুনর্জীবিত করে তুলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কাশী বিশ্বনাথ করিডোর
২০১৯ সালে ৭০০ কোটি টাকার বিশ্বনাথ করিডোর প্রজেক্টের সূচনা করেছিলেন। এই প্রোজেক্টের অধীনে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে গঙ্গাঘাট অবধি ৫ লক্ষ বর্গ ফুট এলাকায় করিডোর বানানো হয়েছে। ১৬৬৯ সালে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব আক্রমণ করেছিলেন। এরপর ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মারাঠা শাসক এই মন্দির পুনির্মান করেন।
গুজরাটের সোমনাথ মন্দির
২০২১ সালের আগস্টে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে রয়েছে পার্বতী মাতা মন্দিরের শিলান্যাস, সোমনাথ মন্দিরের দর্শন পথ এবং এক্সিবিশন সেন্টার। এই উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আতঙ্কবাদের শাসন সবসময় স্থায়ী হয় না। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে মেহমুদ গজনী থেকে শুরু করে ঔরঙ্গজেব, বহুবার এই মন্দিরে হামলা করেছিলেন।
অযোধ্যার রাম মন্দির
২০১৯ সালের ৯ ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে আর কোন সমস্যা থাকে না। এরপর ২০২০ সালের আগস্টে রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতে শ্রীনগরের রঘুনাথ মন্দির এবং পাদেন্দ্র মন্দির, অনন্তনাগের মার্তন্ড মন্দির, পাটনার শঙ্করগৌরীশ্বর মন্দির, অবন্তিপুরার অবন্তীস্বামী এবং অবন্তিস্বরা মন্দিরের পুনর্নিমান প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্য রয়েছে ভারত সরকারের। এই তালিকায় রয়েছে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরও।
শুধুমাত্র দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও মন্দির নির্মানের কাজ জারি রয়েছে। ২০১৮ সালে আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের শিলান্যাস করেন। আবার বেহরিনের ২০০ বছরের পুরনো শ্রীনাথ জি মন্দিরের পুনর্নির্মানের জন্য কয়েক কোটি টাকার প্রজেক্ট লঞ্চ করেন ২০১৯ সালে।