বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার জম্মু (Jammu And Kashmir) সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শিক্ষা, রেলপথ, সড়কপথ এবং বিমান পরিষেবার সহ আরও একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করবেন বলে খবর। সূত্রের খবর, এই খাতে মোট ৩০,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার (Modi Government)। জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারি নিয়োগের কথাও বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩,৩৭৫ কোটি টাকার বেশি কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) জম্মু, আইআইএম বৌদ্ধ গয়া এবং আইআইএম বিশাখাপত্তনমের উদ্বোধন করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও সারাদেশে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের (কেভি) ২০টি নতুন ভবন এবং ১৩টি নতুন নবোদয় বিদ্যালয় (এনভি) ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিন নানা প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি উপত্যকায় প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন এবং সাঙ্গলদান স্টেশন এবং বারামুল্লা স্টেশনের মধ্যে ট্রেন পরিষেবার সূচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এইদিন জম্মুতে ‘বিকাশ ভারত, বিকাশ জম্মু’ কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে কথাও বলেছেন।
আরও পড়ুন : এবার ভুটান দখলের পথে চিন! বিতর্কিত এলাকায় বাড়ি বানাল ড্রাগনরা, থাকবে ১৮ হাজার পরিবার
এইদিন জম্মু সফরে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নতি বজায় রাখব। আমরা যখন লাখপতি দিদির কথা বলি, যারা দিল্লির এসি রুমে বসে পৃথিবী দেখার চেষ্টা করেন তাদের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে গ্রামের কেউ লাখপতি দিদি হতে পারেন। সাইনাজি, আপনি এটি করে দেখিয়েছেন। এবার তারা বুঝবে যে, এটাও সম্ভব।
আরও পড়ুন : স্ত্রীকে স্কুটার থেকে নামিয়ে জ্যান্ত পুড়িয়ে দিল স্বামী! কেরলে নৃশংস ঘটনায় শিহরিত গোটা ভারত
এইদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন আমরা উন্নত জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য অঙ্গীকার নিয়েছি। আমি আপনাদের উপর বিশ্বাস রাখি। আমরা জম্মু ও কাশ্মীরকে আরও উন্নত করব। মোদি আগামী কয়েক বছরে আপনার স্বপ্ন পূরণ করবেন যা গত ৭০ বছর ধরে অপূর্ণ ছিল। এমনও দিন কেটেছে যখন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কেবল হতাশাজনক খবর আসতে। বোমা, বন্দুক, অপহরণ, বিচ্ছিন্নতা… এ ধরনের ঘটনা জম্মু ও কাশ্মীরের দুর্ভাগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু আজ জম্মু ও কাশ্মীর উন্নয়নের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে।’
নমো তার ভাষণে আরও বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর বহু দশক ধরে পরিবারতন্ত্রের শিকার। যারা পারিবারিক রাজনীতির চর্চা করে তারা সব সময় শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখেছে এবং আপনাদের স্বার্থের তোয়াক্কা করেনি। বংশবাদী রাজনীতিতে যদি কেউ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তা হলো আমাদের তরুণরা। যারা শুধুমাত্র তাদের পরিবারের কথা ভাবেন তারা কখনই আপনার পরিবার নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি খুশি যে জম্মু ও কাশ্মীর এই পারিবারিক রাজনীতি থেকে মুক্তি পেয়েছে।’৮