১৭০০০ কোটি টাকা ফিরিয়েছে ED! ভোটের আগেই চোখধাঁধানো পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগেই কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ইডির (Enforcement Directorate) বাজেয়াপ্ত করা ৩০০০ কোটি টাকা বাংলার গরিব মানুষকে ফেরানোর জন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি। নতুন সরকার গঠন হলেই এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কার্যত পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি একটি তামিল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি (ED) নিয়ে কথা বলেন মোদী। তিনি বলেন, আমরা ইডি তৈরি করিনি। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে ইডিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের শাসক দল। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সপাট জবাব, ‘আমরা ইডিকে কোথাও পাঠাই না, কোথাও যাওয়া থেকে আটকাই-ও না’।

বর্তমানে পিএমএলএ আইনে দেশের বহু রাজনৈতিক নেতা জেলবন্দি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাব, এই আইন আগের সরকার এনেছিল। এখানেই না থেমে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে ইডি।

আরও পড়ুনঃ টাকা তুমি কার! ৫২ কোটির দায় ঘাড়ে চাপাতে চাইছে অর্পিতা, আদালতে বিস্ফোরক পার্থ

মোদীর কথায়, ‘২০১৪ সালের পর থেকে এজেন্সি হাজার হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে থেকে প্রায় ১৭০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই যোগ্য ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে’। বাংলাকে ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা ফেরানোর কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রীর এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

pm narendra modi on ED returning money

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে বাংলা-সহ দেশের একাধিক রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীর নাম নানান দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। সম্প্রতি যেমন আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ মনীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈনও জেলবন্দি। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর কন্যা কে কবিতার জীবনও এখন জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই কাটছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর