বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাবের কারণে ভারতে (India) লকডাউন জারী করা হয়েছিল ১৪ ই এপ্রিল অবধি। লকডাউনের ফলে সাফল্য মিলেছে। ভয়াবহ সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে ভারতবাসী। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস ভারতে ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা চালাতে পারেনি। তাই লকডাউনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র সরকার তাঁদের আর্জি মেনে নেয়। সেই কারণে লকডাউনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ১৪ ই এপ্রিল সকাল ১০ টায় আরও একবার জাতীর উদ্যেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই বকৃতার মাধ্যমে তিনি দেশবাসীকে লকডাউন সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এবং এর পাশাপাশি এই সময় সংকটের মধ্যে থাকা মানুষজনদের পাশে দাঁড়ানোরও অনুরোধ করেন। সকলে মিলে এক হয়ে আগামী ৩ রা মে অবধি লকডাউন পালন করার অনুরোধ করেন। লকডাউনই একমাত্র অস্ত্র এই মহামারির বিরুদ্ধে। তাই আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত আবারও ভারত জুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত জানালেন মোদী সরকার। প্রয়োজনে এই সময়সীমা আবার বাড়তেও পারে।
এই লকডাউন সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি কাজ করতে বললেন দেশবাসীকে, ‘সাত বাতো মে আপকা সাথ’। যেগুলো হল-
১) এই সময় বাড়িতে যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তি থাকে, তাহলে তার সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে। তাঁদেরকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
২) লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের লক্ষণ রেখা মেনে চলতে হবে। ঘরে তৈরি মাস্ক বা যেকোনো ধরণের কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৩) শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য চিকিৎসকরা যা পরামর্শ দিচ্ছেন, তা মেনে চলতে হবে। গরম জল বা চা সবসময় পান করুন।
৪) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অন্যদেরও এই অ্যাপ ব্যবহার করতে বলতে হবে।
৫) যতটা সম্ভব গরীব পরিবারদের সাহায্য করতে হবে। তাঁদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করুন।
৬) ব্যবসা ক্ষেত্রে মানবিকতা দেখাতে হবে। কোন ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না।
৭) দেশের করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ, চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মী, পুলিশ কর্মী সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তাঁদের কথা মেনে চলতে হবে।
এই সাতটি বিষয়ে দেশবাসীর সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। এবং বললেন এই সপ্তপদী ভারতে বিজয় আনবেই।