বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহরমপুর পৌরসভা পরিচালিত দু’টি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার (Teacher) বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বহরমপুর থানায়। এবার ওই দুই শিক্ষিকার পক্ষ নিয়ে সরব হলেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে করা ওই মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ হিসেবে অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন ওই দুই শিক্ষিকা কংগ্রেস করায় তাঁদের সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বহরমপুর পৌরসভা।
কাঠগড়ায় বহরমপুরের ২ শিক্ষিকা (Teacher)
জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস করায় ওই দুই শিক্ষিকার (Teacher) বেতন দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছিল বহরমপুর পৌরসভা। অভিযোগ জানিয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর আদালতের রায়ে দুই শিক্ষিকার বেতন আবার চালু করা করা হয়। কিন্তু অধীর চৌধুরীর দাবী ওই দুই শিক্ষিকার বেতন চালু হলেও, এবার তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র।
বহরমপুরের গোরাবাজার ও সৈয়দাবাদ এলাকার দুটি অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে এক ভয়ংকর অভিযোগ। বলা হচ্ছে ওই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের গোপনাঙ্গ দেখানো এবং তাতে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহরমপুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিভাবকরা। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP-র আয়ু নির্ধারণ করলেন মমতা! ‘প্যাক-ফ্যাক মানি না’ বলেও I-PAC নিয়ে স্পষ্ট করলেন অবস্থান
বুধবার বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীর চৌধুরী জোর গলায় বলেছেন, ‘কংগ্রেস করায় ওই দুই শিক্ষিকাকে বারবার সমস্যায় ফেলছে বহরমপুর পৌরসভা। হাইকোর্টের রায়ে দুই শিক্ষিকার বেতন চালু হয়ে যাওয়ার পর আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বহরমপুর পৌরসভা।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে অধীর চৌধুরী বলেছেন, দুই শিক্ষিকাকে এভাবে যেন বিপদে না ফেলা হয়। যদিও ইতিমধ্যেই পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিউনিসিপ্যালিটি এডুকেশন কমিটি আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই দুই স্কুলের শিশুদের উপর হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল আগেই।