কৃষকদের সমর্থনের বদলে ১৮ কোটি পেয়েছে রিহানা, উঠে এলো খালিস্তানি কানেকশনওঃ রিপোর্ট

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আন্তর্জাতিক স্তরে শুরু হওয়া অভিযানের পিছনে কানাডার পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশন (PJF) সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সামনে এসেছে। দ্য প্রিন্ট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযানের জন্য কানাডার নেতা আর কর্মীদের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল।

দ্য প্রিন্ট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কাইরকেট যেটি একটি PR FIRM আর এই ফার্মের ডায়রেক্টর খালিস্তানি নেতা ধালীবাল। আর এই নেতাই রিহানাকে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্যুইট করতে ২.৫ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় টাকায় ১৮ কোটি) দিয়েছিল।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ দ্বারা শেয়ার করা টুলকিট ভারতের বদনাম করার একটা বড় ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। ধালীবাল, ম্যারিনা পিটারসন, পিআর ফার্মে রিলেশনশিপ ম্যানেজার রুপে কাজ করা অনীতা লাল, কানাডায় বিশ্ব শিখ সংগঠনের নির্দেশক আর কানাডার সাংসদ জগ্মীত সিংয়ের মতো মানুষরা জনতাকে উস্কাতে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার বিরোধী মহল তৈরি করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

অনীতা লাল PJF এর সহ-সংস্থাপক। এই সংগঠনের নাম গ্রেটা থানবার্গ দ্বারা শেয়ার করা টুলকিটে মুখ্য ভাবে এসেছিল। জানিয়ে দিই, এই গোটা মামলা রিহানার কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্যুইট করার পর শুরু হয়। রিহানা একটি ট্যুইটে লিখেছিল যে, আমরা কেন এদের বিষয়ে কিছু বলছি না?

রিহানার ট্যুইটে পর গ্রেটা থানবার্গ আর মিয়াঁ খালিফাও কৃষকদের সমর্থনে ট্যুইট করেন। গ্রেটা কৃষকদের সমর্থনে একটি টুলকিট শেয়ার করার পরই এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ খুলে যায়। তখনই বোঝা যায় যে, সমর্থনের নামে ভারতকে বদনাম করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরপর গ্রেটা তাঁর ট্যুইট ডিলিট করে নতুন করে আবার ট্যুইট করে। তখন সে সেই টুলকিটকে আপডেট করে পোস্ট করে।

টুলকিটের মাধ্যমেই জানা যায় যে, নভেম্বর ২০২০ থেকেই এই ষড়যন্ত্র চলছিল। ২৩ আর ২৬ জানুয়ারি বড়সড় প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল এদের।

X