জম্মু ও কাশ্মীরে যেখানে ৩৭০ ধারা সমাপ্ত হওয়ার পর যেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লেগেছে। অন্যদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের মানুষ বিরোধ প্রদর্শন শুরু করেছে। POK এর জনগণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে পড়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ‘সবকিছু ঠিকঠাক নয়’ নিয়ে কথা বলার পরে, পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘ থেকে শুরু করে ইসলামিক দেশগুলিকে নিজের প্রলোভনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে, তবে পাকিস্তানকে অসফলতার সম্মুখীনই হতে হচ্ছে। জানিয়ে দি যে জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। NSA অজিত ডোভালও অঞ্চলটির পরিদর্শন করেছিলেন এবং সরাকরি আধিকারিকদেড় থেকে লাগাতার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে, জনগণ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। অনেকে ‘পাকিস্তান থেকে মুক্তি’ দাবিতে এই প্রতিবাদে যোগ দেন। লোকজন বলেছিল যে পাকিস্তান অবৈধভাবে তাদের অঞ্চল দখল করেছে। এই প্রতিবাদকে দমন করতে পাকিস্তান এই অঞ্চলে সবযোগাযোগ মাধ্যমকে ব্ল্যাক করে দিয়েছে এবং মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সাথে বর্বরতা প্রদর্শন করে এবং গুলি চালিয়েছে।
#Watch | Protesters in Pakistan-occupied Kashmir (PoK) chant slogans against illegal occupation by Pakistani Army near the Line of Control (LoC) with India. pic.twitter.com/CvpOaQKEiR
— DNA (@dna) September 9, 2019
শনিবার বিক্ষোভকারী শতাধিক মানুষকে পুলিশ অত্যাচার করে দমন করার চেষ্টা করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আর.কে সেহগাল বলেছেন, বালুচিস্তান ও সিন্ধুর মতো পাক সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। জানিয়ে দি, ৩৭০ অপসারণের পর ভারত সরকারের টার্গেট পাক অধিকৃত কাশ্মীর অর্থাৎ POK, যেখনের মানুষ পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
জানিয়ে দি, POK এর মধ্যে গিলগিট বালতিস্তানও পড়ে। আর এই গিলগিট বাল্টিস্তান ভৌগোলিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভারতকে বিদেশী আক্রমন থেকে রক্ষা করতে হয় তবে এই এলাকাটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা অতি আবশ্যক। শুধু এই নয়, এখানে খনিজ কাঁচামাল এর বিশাল ভান্ডার রয়েছে। যার জন্য চীন ওই এলাকাটিকে দখল করার পরিকল্পনাও করেছিল।