দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে আটকে পড়ায় স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের দ্বারস্থ হল প্রথম স্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) সমগ্র বিশ্বে তার তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সমগ্র মানুষ এখন আতঙ্কে রয়েছে। আর এই আতঙ্কের মধ্যেই ঘটে গেল এক বিপত্তি। চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছে গিয়ে লকডাউনে আটকা পড়লেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক যুবক। স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে মহিলা পুলিশের সাহায্য নিল প্রথম পক্ষের স্ত্রী।

Arranged marriage

স্ত্রী এবং এক সন্তান থাকা সত্ত্বেও সংসারের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন বেঙ্গালুরুর এক যুবক। পালা করে করে দুই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আচমকা একদিন প্রথম স্ত্রী জানতে পেরে যায় দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা। আর তাতেই তার সাজানো সংসারে আগুন ধরে যায়। স্বামীর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশের মহিলাদের হেল্পলাইনে অভিযোগ জানান প্রথম পক্ষের স্ত্রী। কিন্তু স্বামী যে দুই স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতে চায়। তাই স্বামীর অনুরধে কেস তুলে নিতে বাধ্য হয় প্রথমা স্ত্রী।

wedding

এই ঘটনার পর দুই স্ত্রী এবং ওই যুবকের পরিবার সকলে মিলে এক সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, দুই পরিবারের দায়িত্বই নিতে হবে তাঁকে। যেহেতু প্রথমা স্ত্রীর কথা সম্পূর্ণ গোপন রেখে সে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছে, তাই কাউকেই অস্বীকার করতে পারবে না। দুটো সংসারই তাকে চালাতে হবে। এবং এক সপ্তাহ করে দুই স্ত্রীর কাছে থাকার বিষয়টাও ঠিক হয় সেখানে।

এই চুক্তি অনুযায়ী গত ২১ শে মার্চ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছে এক সপ্তাহ থাকার জন্য যায় ওই যুবক। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ জুড়ে লকডাউন অবস্থা জারি হওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী ৭ দিন পর আর প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরতে পারে না সে। ৭ দিন পর স্বামী ফিরে না আসায় তাঁকে বারং বার ফোন করতে থাকে প্রথমা স্ত্রী। কিন্তু কোন সুফল মেলেনি। স্বামী বারবার বলতে থাকে সুযোগ পেলেই তিনি ফিরে আসবেন।

marriage web

এরপর ধীরে ধীরে বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস শেষ হয়ে আসায়, শেষ পর্যন্ত মহিলা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করেন প্রথমা স্ত্রী। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতেই নেই ওই যুবক। বিজয়নগরে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই যুবক। পুলিশ যাওয়ায় বেগতিক দেখে দুই স্ত্রীর বাড়িতেই প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন ওই যুবক।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর