বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বনাম বিজেপি (Bharatiya Janata Party) দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি আর এর মাঝেই এবার জুয়ার আসর থেকে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত পাঁচ যুবক শাসক এবং বিরোধী দুই দলেরই নেতা কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) এলাকায়।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকা। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বুক থেকে জুয়া খেলার খবর ক্রমাগত সামনে আসতে থাকে। এরপরই অভিযান চালিয়ে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পরল মোট পাঁচ অভিযুক্ত। অভিযুক্তরা হলেন শ্যামল বর্মন, সুশান্ত রায়, মৃত্যুঞ্জয় রায়, তন্ময় সূত্রধর এবং আশেকার রহমান। তাদেরকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৫ যুবকের কাছ হতে ৭৫০০ টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি একাধিক প্রমাণ মিলেছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে আরও একাধিক তথ্য সামনে উঠে আসবে বলেই অনুমান পুলিশের। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত আশেকার রহমান এবং তন্ময় সূত্রধর যথাক্রমে বিজেপির মন্ডল সভাপতি ও যুব মোর্চা সভাপতি পদে নিযুক্ত। আবার অপরদিকে, মৃত্যুঞ্জয় রায় এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বলেই পরিচিত।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় একের পর এক ইস্যুতে যেভাবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত, সেই পরিস্থিতিতে দুই দলের নেতাদের জুয়া খেলা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন মেখলিগঞ্জ তৃণমূল ব্লক সহ-সভাপতি জানান, “যদি কেউ অন্যায় করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে।”
অপরদিকে মেখলিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, “পুলিশ তাদের মত কাজ করেছে। অনৈতিক কাজ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” এক্ষেত্রে ধৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের গলায়। তাদের দাবি, “যেভাবে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সুর চরিয়ে চলেছে আমাদের দলীয় কর্মীরা, তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়ে থাকতে পারে।” ফলে সবমিলিয়ে জুয়া খেলার আসর নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা মেখলিগঞ্জ এলাকা।