পরিচয় গোপন করে কর্ণাটকের জামাকাপড় কারখানায় কারা? ব্যাগে টান দিতেই ফাঁস আসল সত্যি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভিন রাজ্যের শ্রমিক সেজে, দিনের পর দিন পরিচয় গোপন করে দিব্যি কাজ করছিল কর্নাটকের চিত্র দুর্গের এক জামাকাপড় তৈরীর কারখানায়। কিন্তু এইভাবে চুরি করে আর কতদিন! তাই শেষমেষ পুলিশের (Police) জালে ধরা পড়েই গেল ছয় বাংলাদেশি যুবক। এমনিতে চুপচাপ কাজ করলেও মুখ খুললেই ব্যাস! দেশের ভাষার টান যাবে কোথায়?

পুলিশের (Police) জালে ৬ বাংলাদেশী যুবক

তাই ওই কারখানার কয়েকজন কর্মী কথা বললেই কানে আসতো ওপার বাংলার ভাষার টান। এমনিতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু মানুষই কাজ করতে আসেন। তাঁদের কথাবার্তা চালচলন অভ্যাসের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও ওই কয়েকজনের মত নয়। তাই সন্দেহটা ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল জামা কাপড়ের কারখানায় কর্মরত অন্যান্য কর্মীদের।

এমন সময় হঠাৎ করেই একদিন কারখানায় এসে হাজির হয় পুলিশ (Police)। আর তারপরেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে একসাথে তুলে নিয়ে যায় কারখানার ১৫ জন কর্মীকে। আর এই ঘটনার এক রাত পরেই যে সত্যি সকলের সামনে এলো তাতে কার্যত স্তম্ভিত সকলেই। এদিন পুলিশের (Police) জালে ধরা পড়েছে মোট ৬ বাংলাদেশী।

সূত্রের খবর অভিযুক্তরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের পথ ধরেই। পুলিশের জাল থেকে বাঁচতেই তারা আশ্রয় নিয়েছিল কর্নাটকের চিত্রদুর্গে।  কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না!পরিচয় গোপন করে জামা কাপড়ের কারখানায় কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা  পড়তেই হলো ৬ বাংলাদেশীকে।  গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ওই জামা কাপড়ের কারখানায় হানা দিয়েছিল পুলিশ।

আরও পড়ুন: তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ! অভিষেক ‘পাওয়ারফুল ইঞ্জিন’ হলেও মমতা ‘বলিষ্ঠ নেত্রী’ দাবি মদনের

গোপন সূত্রেই তাদের কাছে খবর এসেছিল জামা কাপড়ের কারখানায় গোপন পরিচয় গোপন করে কাজ করছে একদল বাংলাদেশী। সেই সূত্র ধরেই ওই কারখানায় হানা দেয় পুলিশ। তারপরে আটক করা হয় ১৫ জন সন্দেহজনক কর্মীকে। লাগাতার তাদের জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি। জানা যাচ্ছে ধৃত ওই ৬ বাংলাদেশি যুবকের কাছ থেকেই প্যান কার্ড,ভোটার কার্ড,লেবার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

Police

এমনকি এদের প্রত্যেকেরই কলকাতায়  ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে খবর। জেরা করেই জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই ওই ৬ যুবক বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়েই। তারপর ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে একাধিক রাজ্য ঘুরে কাজ করেছে তারা। পুলিশ সূত্রে খবর তাদের আবার বাংলাদেশের ফেরত পাঠানোর জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কোথা থেকে তারা এই নকল আধার কার্ড বা প্যান কার্ড বানিয়েছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।

ad

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর