পুরো ভারতে (India) করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যে দেশের মানুষ সংকটে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী হাত জোড় করে দেশের কাছে অনুরোধ করেছে সকলে যেন লকডাউনের পালন করে এবং একজোট হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। তবে এই পরিস্থিতিতে খাদ্য সঙ্কট নিয়ে অনেকের মধ্যে প্যানিক তৈরি হয়েছে।
অনেকে জায়গায় খুচরো দোকানদাররা বাজারে মাল কিনতে গেলে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলস্বরূপ খাদ্য, সবজি, দুধ নিয়ে মানুষের মনে বড় প্যানিক তৈরি হয়েছে। অনেক বাজারের রাত অবধি সামনে লম্বা লাইন পর্যন্ত দেখা গেছে। মানুষ দাবি তুলেছে তাদের খাদ্য, সবজির ব্যাবস্থা করে দেওয়া হোক।
দেশের এমন কঠিন সময়ে যখন হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার উচিত ঠিক সেই সময় এক গুরুতর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে। পুলিশ নান স্থানে কারণ না জিজ্ঞাসা করেই লোকজনকে মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে এক ECL কর্মীকে পুলিশ বাইরে বেরোনোর কারণ জিজ্ঞাসা না করেই মারধর করেছে।
ECL কর্মীরা বলেছেন “আমাদের এইভাবে হেনস্থা করা হলে কিভাবে আমরা কাজে আসবো আর কিভাবেই বা দেশ চলবে। আমরা না এলে প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে যাবে, দেশে আলো জ্বলবে না। তাই আমরা চাই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করুন।
দেশে লকডাউন অবস্থায় খাবারের দোকান খোলা রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। কিন্তু খুচরো দোকানদাররা বাজার থেকে মাল আনতে গেলে পুলিশ এর তাড়া খেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বেশকিছু জায়গায় জোর করে খাদ্য সামগ্রী দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। এখন যখন পুলিশ, জনগণের হাতে হাত মিলিয়ে ভিড়, জমায়েত না করার দিকে এগোনো উচিত সেই সময় পুলিশের এমন ব্যাবহার নিয়ে উঠছে প্রশ্নঃ। যারা জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত তাদের কেন ছাড় দেওয়া হচ্ছে না তার উপরেও উঠছে প্রশ্নঃ