বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের একবার পুলিসের (police) মানবিক মুখ দেখল দেশবাসী। এক ৬০ বছরের মহিলার জন্মদিনে (birthday) তাঁর বাড়ির সামনে হাজির হয়ে গান গাইল, জন্মদিন পালন করল হায়দ্রাবাদ পুলিস।
সৈনিকপুরির সাইপুরি কলোনির বাসিন্দা কুট্টি হাদাসা পল একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। লকডাউনের জেরে একা একাই কাটছিল তাঁর ৬০ বছরের জন্মদিন। ছেলে থাকে আমেরিকা। এই লকডাউনে সেও তাই আসতে পারেনি মায়ের কাছে। কিন্তু নিজে না যেতে পারলেও মায়ের এই বিশেষ দিন মাটি হতে দেয়নি সে। রাচাকোন্ডার পুলিস ডেপুটি কমিশনারকে ফোন করে তিনি আবেদন জানান, লকডাউনের জন্য তাঁর মায়ের ৬০তম জন্মদিন সে উপস্থিত থাকতে পারছে না। তাই পুলিস যেন মায়ের জন্মদিন পালন করে।
পুলিস ডেপুটি কমিশনার রেখেছেন তাঁর কথা। মহিলার জন্মদিনের দিন নেরেডমেট থানার ইনস্পেক্টর নরসিমা স্বামী পৌঁছে যান তাঁর বাড়ির সামনে হাতে ফল, মাইক ও সাউন বক্স নিয়ে। ওই মহিলার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘বার বার দিনে ইয়ে আয়ে’। নরসিমার কথায়, “উনি খুবই খুশি হন এমন সারপ্রাইজ পেয়ে। তারপর আমরা ওনার পরিবার ও প্রতিবেশীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিই।”
এক সাক্ষাৎকারে কুট্টি পল বলেন, “আমার ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ফোনে শুভেচ্ছা জানায়। নরসিমা যখন আমায় ফোন করেন প্রথমে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু তারপর আমার ছেলের নাম বলতে আমি বাড়ির ঠিকানা দিই। তারপর বাড়ির সামনে জোরে সাইরেন শুনতে পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি সবাই হ্যাপি বার্থডে গাইছে। আমি অবাক হয়ে যাই এটা দেখে যে সবার মুখেই মাস্ক পরা ছিল। এমন ঘটনা বাইরের দেশে দেখেছি। ভাবতে পারিনি আমার সঙ্গেও এমন হবে।”
এর আগেও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে সমবেত ভাবে জন্মদিনের গান গাইতে দেখা গিয়েছিল পঞ্জাব পুলিসদের। এক ব্যক্তি পুলিসকে জানান তার মেয়ের ১ বছরের জন্মদিন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি কেক আনতে যেতে পারছেন না। তাই পুলিসের তরফ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয় শিশুটির জন্মদিন পালনের।
ভিডিওতে দেখা যায়, লাইন দিয়ে শিশুটির বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় পুলিসের বাইক। তারপর সকলে মিলে তারা একসঙ্গে গেয়ে ওঠে ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’। জানায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা। পুলিসের একজন উর্দ্ধতন ব্যক্তি শিশুটির মায়ের হাতে তুলে দেন কেক। তারপর আবার একই ভাবে চলে যায় বাইকের সারি। এমন অভিনব শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে ওই পরিবারের মুখেও হাসি ফুটে ওঠে।
সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের এক পুলিসকর্মী নিজের উদ্যোগে ২০০০০ টাকা দিয়ে হিমাচল প্রদেশের এক ব্যক্তির চিকিৎসা করান। লকডাউনে হায়দ্রাবাদে আটকে পড়েছিলেন তিনি।