হায়দ্রাবাদে (Hyderabad) ২৬ বছর বয়সী ডঃ রেড্ডির ধর্ষণকাণ্ড পুরো দেশকে কাঁদতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু এখন এই মামলায় বড়ো আপডেট আসছে যে হায়দ্রাবাদ পুলিশ ৪ জন ধর্ষককে গুলি করে মেরে ফেলেছে। দেশের জনতা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হায়দ্রাবাদ পুলিশকে পূর্ন সমর্থন জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে তারা ঘটনার রি-ক্রিয়েট সিন করার জন্য ৪ জন অভিযুক্তকে NH-44 এর সামনে এনেছিল। সেই সময় ৪ জন পলায়ন করার চেষ্টা করলে পুলিশ এনকাউন্টার করে।
জানিয়ে দি, বর্তমানে হায়দরাবাদ পুলিশের কমান্ড এমন একজনের হাতে রয়েছে যাকে এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সাইবেরবাদ পুলিশের কমিশনার ভি জে সজ্জনার। হায়দ্রাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে ডঃ রেড্ডির ধর্ষণ করে হত্যার খবর আসার পর পুরো দেশ অপরাধীদের ফাঁসির দাবি করেছিল। পুলিশ তদন্তে নামলে মূল অভিযুক্ত তথা ঘটনার মাস্টার মাইন্ড মহম্মদ আরিফ পাশাকে ও তার ৩ সাথীকে গ্রেফতার করে। এখন ধর্ষণকাণ্ডের ৮ দিনের মধ্যে ৪ জন ধর্ষককে গুলি করে মেরেছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ।
এর আগে তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে, তিন জন যুবক একটি মেয়ের উপর এসিড ছুঁড়েছিল। তখনও তিনজন অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে মেরে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনা ২০০৮ সালের ছিল, অপরাধীরা জেলে থাকার সময় পুলিশের উপর আক্রমন করেছিল। ঠিক সেই সময় পুলিশ তাদের এনকাউন্টার করে মেরেছিল। অন্যদিকে এখন ডঃ রেড্ডির ঘটনাতেও পুলিশ যা কাজ করেছে তা দারুণভাবে প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে।
যে জায়গায় মহম্মদ আরিফ পাশা ও তার ৩ জন সঙ্গীকে এনকাউন্টার করা হয়েছে সেখানে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছে। তবে পুলিশ লোকজনকে নিদির্ষ্ট জায়গায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়নি। বাইরে দাঁড়িয়ে লোকজনের ভিড় হায়দ্রাবাদ পুলিশ জিন্দাবাদ বলে শ্লোগান দিচ্ছে। অনেকের দাবি এই এনকাউন্টার একবারে সাজানো। পুলিশ ইচ্ছা করেই ৪ জনকে মেরেছে। তবে পুলিশ জনগণের পূর্ন সমর্থন পেয়েছে। কমিশনার ভি জে সজ্জনার এখন ব্যাপক চর্চায় রয়েছেন।