বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সাগরে বড় অ্যাকশন পুলিশ প্রশাসনের। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে খুনের দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা (BJP Leader) মিশ্রিচাঁদ গুপ্তার (Mishri Chand Gupta) বাড়ি ডায়নামাইট দিয়ে গুড়িয়ে দিল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নেতার চারতলা হোটেল ভেঙে গুড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
তবে কেন এই অ্যাকশন? জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মিশ্রিচাঁদ গুপ্তার বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভে নামেন স্থানীয় মানুষজন। এরপরেই নেতার অবৈধভাবে নির্মিত চারতলা হোটেল গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। প্রসঙ্গত, মিশ্রিচাঁদের বিরুদ্ধে কর্পোরেটরের ভাইপোকে জিপে পিষে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর চারতলা হোটেল নিমিষে ধ্বংস করে পুলিশ বাহিনী। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ডায়নামাইট ব্যবহার করে অবৈধভাবে নির্মিত চারতলা হোটেলটি গুঁড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার চারতলা হোটেলে ৬০টি ডায়নামাইট বসিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা বিস্ফোরণ করে ভেঙে ফেলা হয়। সাগরের জেলাশাসক দীপক আর্য, ডিআইজি তরুণ নায়কের তত্ত্বাবধানে সমস্ত অভিযানটি চলে।
অভিযুক্ত মিশ্রিচাঁদ গুপ্ত ও তাঁর পরিবারের হোটেল জয়রাম প্যালেস মাকারোনিয়া মোড়ের কাছে অবস্থিত। কিছুদিন আগেই চারতলা এই হোটেলের নির্মাণ অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর মঙ্গলবার পুলিশ ও প্রশাসনের দল হোটেলটি ভাঙার কাজে সেখানে পৌঁছায়। ঘটনাকালে নিরাপত্তার জন্য গোটা এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। হোটেলের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২ ডিসেম্বর রাতে মাক্রোনিয়া চত্বরে জগদীশ যাদব ওরফে জগ্গু নামক এক ব্যাক্তিকে একটি জীপে পিষ্ট করে হত্যা করা হয়। জগদীশ (৩০) ছিলেন মাক্রোনিয়া থানার অন্তর্গত কোরেগাঁওয়ের বাসিন্দা। মৃত জগদীশ ছিলেন এলাকার স্বতন্ত্র কাউন্সিলর কিরণ যাদবের ভাইপো। কাউন্সিলর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিশ্রিচাঁদ গুপ্তের স্ত্রী মীনাকে ৮৩ ভোটে পরাজিত করেন কিরণ যাদব।
এরপরই বিজেপি নেতা মিশ্রিচাঁদ গুপ্তার বিরুদ্ধে এই মামলায় খুনের অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এই হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে,এর মধ্যে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। তবে মিশ্রিচাঁদ গুপ্তা এখনও পলাতক রয়েছেন।