হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ! এবার জীবনকৃষ্ণের TMC পার্টি অফিস বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় একের পর এক গ্রেফতার হয়েছে শাসকদলের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক বিধায়ক। কিছুদিন আগেই সেই তালিকায় নাম জুড়েছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha)। আপাতত তিনি জেলবন্দি। এরই মধ্যে এবার বিধায়কের এলাকাতেই তৃণমূলের পার্টি অফিস বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ।

কেন? জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে ২০২১ সালে বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসটি নির্মিত হয়েছিল। তবে তারপরই অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দা শফিউর রহমান আদালতের দ্বারস্থ হন।

ওই বাসিন্দার অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে সরকারি জায়গা জবরদখল করে পার্টি অফিস তৈরি করেছে শাসকদল। এই অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই কিছুদিন আগে অবৈধ ভাবে নির্মিত ওই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত।

এর পরই আজ বড়ঞা থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। কান্দি মহকুমা শাসকের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জীবনকৃষ্ণর এলাকার ওই বেআইনি নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।

তবে কেউ কেউ আবার বলছেন ওটা নাকি তৃণমূলের পার্টি অফিস ছিলই না। এলাকার যারা যারা তৃণমূল করেন তারা সেখানে গিয়ে গল্প আড্ডা মারতেন। বর্তমানে জেলবন্দি বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও নাকি এই ভবনেই এসে বসতেন।

jiban krishna saha tmc

প্রসঙ্গত, বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় টানা তিনদিন তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ বহু টানাপোড়েনের পর তাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন শাসকদলের এই বিধায়ক। তবে তার গ্রেফতার নিয়েও কম কাহিনী নেই।

প্রথম দিন বাড়িতে সিবিআই (CBI) তদন্ত চলাকালীন বিধায়কের বিরুদ্ধে নিজের জোড়া মোবাইল পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অসুস্থতার বাহানা দিয়ে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পাশের পুকুরে নিজের ফোন ফেলে দেন জীবনবাবু। গোটা দুদিন ধরে সেই মোবাইল উদ্ধার করে আনতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় সিবিআইকে। তবে সম্প্রতি ফরেন্সিক পরীক্ষার সেই ফোন থেকে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বর্তমানে সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে সিবিআই।

 


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর