বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallabi Dey) এর মৃত্যু রহস্যের সমাধান এখনো অধরা। গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে কেটে গিয়েছে দশ দিন। প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী এখনো রয়েছেন পুলিসি হেফাজতে। সম্প্রতি টলিপাড়ায় তদন্ত করতে গিয়েই পুলিস জানতে পারে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে পল্লবীর!
গত ১৫ মে সকালে নিজের ফ্ল্যাটেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল পল্লবীর দেহ। প্রেমিকাকে প্রথম বার ওই অবস্থায় দেখে পুলিসে খবর দেন সাগ্নিক। তাঁর বিরুদ্ধেই মেয়েকে খুন করার অভিযোগ এনেছেন পল্লবীর বাবা মা। এদিকে সম্প্রতি পুলিসের কাছে খবর আসে, পল্লবীর মৃত্যুর কারণ গুলির আঘাত!
যাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃত্যু গুলির আঘাতে কীভাবে হতে পারে। মঙ্গলবার টলিপাড়ায় গিয়ে তদন্ত চালাতেই নতুন সূত্র আসে পুলিসের হাতে। আসলে এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিলই নেই। গুলি লাগার ঘটনাটা ঘটছে পর্দায়।
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ‘মন মানে না’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্র গৌরীর ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন পল্লবী। আচমকা তাঁর মৃত্যুর পর মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন নির্মাতারা। তাই শেষমেষ ঠিক হয়, পর্দার গৌরীরও মৃত্যুদৃশ্যই দেখানো হবে। কিন্তু এখানে গৌরী ওরফে পল্লবীর মৃত্যুর কারণ গুলির আঘাত।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরেই আমূল বদল এসেছে সিরিয়ালের গল্পে। গৌরীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই মঙ্গলবার শেষ হয়ে গিয়েছে মন মানে নার শুটিং।
এদিন প্রয়াত পল্লবীর কয়েকজন সহ অভিনেতা অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস।
তাঁরা জানান, সিরিয়ালের শেষ হওয়ার খবর আগেই জেনেছিলেন তাঁরা। তাই চিন্তায় ছিলেন পল্লবী। এরপর কোন সিরিয়ালে অভিনয় করা যায় বা কোন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলা যায় তা নিয়েও আলোচনা করতেন তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে। সেটে অনেকেই তাঁকে মেজাজ হারাতেও দেখেছে।
এর আগে পুলিসের জেরায় সাগ্নিকও জানিয়েছিলেন, পল্লবী নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে সিরিয়ালটিতে কাজ করছিলেন সেটি খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যাবে। এদিকে হাতে কাজ নেই। এমতাবস্থায় ইএমআই কীভাবে চোকাবেন তা নিয়েই নাকি চিন্তায় পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট