বাংলাহান্ট ডেস্ক : উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary Examination) পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশ-প্রশাসনের দারস্থ হয় সেই উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন (২০)। বাড়ি ফরাক্কা (Farakka) ব্লকে তিলডাঙ্গা এলাকায়। গত এক বছর আগে তার বিয়ে হয় ফরাক্কা থানার বিন্দুগ্রাম এলাকায়।
উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর অভিযোগ বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে তালা মেরে বন্দি করে রাখতে চেয়েছিল যাতে সে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে না যেতে পারে। সেই সময় সুলতানা খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দারস্থ হয়। ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী ছাত্রীর মুখে থেকে জানতে পারেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পরীক্ষা দিতে দেবেনা।
দেবব্রত বাবুর কাছে আরোও জানতে পারেন যে, সুলতানার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অ্যাডমিট কার্ড সহ তার সমস্ত কাগজপত্র জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। এরপর ফরাক্কা থানার আইসি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে গিয়ে দেখে তার শ্বশুরবাড়িতে তালা মারা। শ্বশুরবাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে তার অ্যাডমিট কার্ড ও ব্যাগ উদ্ধার করে নিয়ে এসে সুলতানাকে নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলে পরীক্ষা সেন্টারে বসিয়ে দেয় পুলিশ।
সুলতানা বলেছেন, “আমি পড়াশোনা করতে ভালোবাসি। কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়ির লোক আমাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না। তাই তারা আমার অ্যাডমিট কার্ড, স্কুলের পোশাক ও ব্যাগ জঙ্গলে ফেলে দেয়। এরপর আমি ফারাক্কা থানার দ্বারস্থ হই। পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় অ্যাডমিট কার্ড ও ব্যাগ।” স্কুলের পোশাক উদ্ধার না হওয়ায় সিভিল পোশাকেই সুলতানাকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুলতানা খাতুনকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ স্বামী, শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে! নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গেল পুলিশ pic.twitter.com/LUZl1CRz0u
— Bangla Hunt (@BanglaHunt) March 16, 2023
সুলতানাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার পর ফারাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকালে অভিযোগ পাই যে সুলতানা নামের এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর শ্বশুরবাড়ির লোক তার অ্যাডমিট কার্ড সহ শিক্ষার সরঞ্জাম বাড়ির জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। আমরা তৎক্ষণাৎ সেই জঙ্গলে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে সুলতানাকে পৌঁছে দিই পরীক্ষা কেন্দ্রে। এটা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। সুলতানার পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুশি।