বাংলাহান্ট ডেস্কঃ CAG-র কাঁধে দায়িত্ব পড়তেই মালদহের (malda) হরিশচন্দ্রপুরের তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহাকে ধরতে হুলিয়া জারি করল পুলিশ। ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের হলেও, দুমাস ধরেও তাঁর কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ।
অবশেষে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে বন্যা ত্রাণে দুর্নীতির তদন্তের ভার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পক্ষ থেকে CAG-র উপর দিতেই, সোমবার মালদার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোনামনি সাহার বাড়িতে নোটিশ ঝোলাল পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছিল, ২০১৭ সালে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের বোরুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচুর ঘর বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারী ভাবে সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছিল। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৩,৩০০ টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।
কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ উঠেছিল ত্রাণের সেই ৭৬ লাখ টাকা প্রকৃত উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই পাননি। ঘর বাড়ি এখনও সারাতে পারেনি বহু মানুষ। প্রকৃত দুর্গতদের টাকা না দিয়ে, নিজের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান, এমন অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, এক একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ থেকে ছয়বার করেও টাকা পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনার পরবর্তীতে অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিডিও অনির্বাণ বসু। কিন্তু সেই বিষয়ে নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য না হওয়ায়, আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তারপর মাস দুয়েক আগে পঞ্চায়েত এলাকায় সোনামনি সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হলেই গা ঢাকা দেন তিনি। তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার কারণে, তাঁর বিরুদ্ধে এবার হুলিয়া জারি করল পুলিশ।
সেইসঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পন না করলে, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করা হবে। তবে বর্তমানে সোনামনি সাহার বাড়ির সামনে পুলিশ পাহারা মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় কিছুটা চাপে পড়েছে তৃণমূল শিবির।