বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাত গড়াতেই ফের পরিস্থিতি চরমে উঠল বিকাশ ভবনের সামনে। চাকরিহারা শিক্ষক (SSC Scam) এবং পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। অভিযোগ, পুলিশের মারে কারোর পা ভেঙেছে, কারোর জামা ছিঁড়ে গিয়েছে। এমনকি মহিলাদের গায়েও হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের (SSC Scam) উপরে লাঠিচার্জ পুলিশের
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিকাশ ভবন চত্বরে পরিস্থিতি ছিল অশান্ত। চাকরিতে বহাল রাখার দাবিতে উন্মত্ত চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা (SSC Scam) বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিকাশ ভবনের সামনে। এক পর্যায়ে গেট ভেঙে ভেতরেও ঢুকে পড়েন তারা। নতুন করে পরীক্ষা নয়, আগের চাকরিতেই বহাল রাখতে হবে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন তারা। কিন্তু রাত নামতেই বদলে যায় চিত্রটা।
সাইরেন বাজিয়ে অ্যাকশন শুরু পুলিশের: বিকাশ ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলতে চাকরিহারাদের (SSC Scam) উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ। গলাধাক্কা খেতে হয় কাউকে, ধস্তাধস্তিতে অনেকের জামা ছিঁড়ে যায়, অনেকের হাত পা-ও ভেঙেছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের (SSC Scam) অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ করছিলেন তারা। হঠাৎ করেই পুলিশ এসে সাইরেন বাজিয়ে শুরু করে মারধোর। পুলিশের লাঠিচার্জে কারোর জামা ছিঁড়ে গিয়েছে। কারোর হাত পা ভেঙেছে। মহিলা শিক্ষকদের গায়েও হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন : রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক পোস্ট করে গ্রেফতার মহম্মদ ওয়াকিল
বিকেলেও বাঁধে সংঘর্ষ: উল্লেখ্য, বিকেল বেলাতেই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC Scam)। সে সময় কার্যত দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। কিন্তু রাত নামতেই সেই পুলিশের দেখা গেল অন্য রূপ। সকাল থেকেই অবশ্য বারেবারে পরিস্থিতি অশান্ত হয়েছে বিকাশ ভবন চত্বরে। এমনকি দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মাঝে আটকে পড়েন পুর চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত।
আরো পড়ুন : নতুন করে পরীক্ষা নয়, আগের সিদ্ধান্তেই অটল চাকরিহারা ‘যোগ্য’রা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি শিক্ষকদের
তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশ। পালটা শিক্ষকদের মারধোর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এমনকি তাদের হাতে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমও। পালটা তৃণমূল নেতা অবশ্য কটাক্ষ করেছিলেন, “আমার গাড়ি আমার ওয়ার্ডে আটকালে তো আদর করবে না”।