‘এই পুলিশের ট্রেনিং দরকার’, ক্ষুব্ধ জাস্টিস ঘোষ, এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এবার যেমন ফের একবার অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল জাস্টিস তীর্থঙ্কর ঘোষকে। সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলায়নি, পুলিশের ট্রেনিং দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • কোন মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা?

সমবায় সমিতিতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছিলেন একজন মহিলা। বুধবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সম্বন্ধিত এই মামলাতেই পুলিশের (Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে উচ্চ আদালত। নন কগনিজেবল অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের ট্রেনিং দরকার বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ঘোষ। এদিন পুলিশকে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশ্ন করে, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারা কেন দিলেন আপনারা? কীভাবে এটা করতে পারেন? আপনাদের আদালতের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল। এমন এফআইআর কীভাবে করতে পারেন?’ প্রশ্ন তোলে উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুনঃ ‘মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো হোক’, শুনেই ফুঁসে উঠলেন ফিরহাদ, বললেন, ‘বাবার দেশ নয়’

এরপরেই পুলিশের ট্রেনিং দরকার বলে মন্তব্য করেন জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। তিনি বলেন, ‘১০৭ এবং ১২৬ ধারা নিয়ে আমি কিছু বলব না। তবে নন কগনিজেবল অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের ট্রেনিং প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে বদলায়নি। প্রথাগত ব্যবহার করছে পুলিশ। এটা আদালতের রেকর্ডে রাখতে চাই না। আপনি অপরাধ চিহ্নিত করছেন। আপনি যখন অপরাধ চিহ্নিত করেছেন, তখন আদালতে যাওয়া প্রয়োজন। না হলে কিছু করবেন না। এটা ভীষণ সহজ’।

Calcutta High Court

বুধবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলে, প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, সেটা ছিল নন কগনিজেবল অপরাধ। চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা যোগ করে পুলিশ। এর জন্য আদালতের অনুমতি নেওয়ার দরকার থাকলেও পুলিশ সেটা নেয়নি।

প্রসঙ্গত, নন কগনিজেবল অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশ দরকার হয়। আদালতের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ তদন্ত করতে পারে না। এই নিয়ে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বলে, নন কগনিজেবল এফআইআর ব্যবস্থা সেই ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসছে। এখনও সেটাকে কপি করে চলেছে পুলিশ। এদিন পুলিশের কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে তাঁদের আরও প্রশিক্ষণ দরকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ঘোষ।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর