বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ শত শত বছরের অপেক্ষার পর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত ধরে এই কাজের সূচনা হয়। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ভূমি পুজোর দিনে এরাজ্যে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপির (Bharatiya Janata Party) আপত্তি সত্ত্বেও ভূমি পুজোর দিনে লকডাউন তুলে নেয় নি মমতা সরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই নিয়ে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি জারি করলেও কোন কাজ হয় নি।
আরেকদিকে আজ এই লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মন্দিরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো পাঠ করা হয়েছে। সেরকম ভাবেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরে রাম পুজো চর্চায় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খড়গপুরের মালঞ্চ এলাকায় একটি মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন। আর সেই সময় পুলিশকর্মীরা মন্দিরে ঢুকে বিজেপির কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এছাড়াও শহরের তালবাগিচায় বিজেপির মহিলা কর্মীরা রাম পুজো করছিলেন। সেখানেও গিয়ে চরাও হয় পুলিশ। সেই পুজোতেও বাধা সৃষ্টি করে। বিজেপির মহিলা এবং পুলিশ কর্মীরা উল্টে পুলিশের দিকে তেড়ে যায় বলে খবর। এরপর পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠিচার্জও করে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী সমর্থক। পুলিশের কর্মীরাও আহত হন বলে জানা যাচ্ছে। খড়গপুর শহর থেকে মোট ৪০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিজেপির নেতা তুষার মুখোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা রামপুজোর প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়েছিলাম। উনি জানান, খড়গপুর পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। আমাদের হোর্ডিং ছিঁড়ে দিয়ে যাচ্ছে। আজ পুজো করার সময় মন্দিরে ঢুকে আমাদের কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”