বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনশনকারী পার্শ্ব শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ‘পার্শ্ব শিক্ষকদের দিতে হবে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের মর্যাদা’ এই দাবি নিয়ে পার্শ্বশিক্ষকরা শনিবার সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে অনশনে বসে। পুলিশ বিকেলে তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয়। এরপর তাঁরা সেখান থেকে চলে যায় ব্যারাকপুরে। পার্শ্ব শিক্ষকদের অভিযোগ ব্যারাকপুরেও তাদের বসতে দেওয়া হয়নি।
এরপর পার্শ্বশিক্ষকরা চলে যান কল্যাণীতে। কল্যাণী স্টেশন সংলগ্ন বাস টার্মিনাস এ অনশনে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা। এই খবর পুলিশের কানে পৌঁছতেই তারা চলে আসেন। জোর করে পুলিশ তাদের তুলে দিতে চাই। এই সময় দুপক্ষে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ শিক্ষকদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় এক মহিলার ব্লাউজ। অভিযোগ সেখানে কোন মহিলা কনস্টেবল ছিল না। এর প্রতিবাদে সোমবার পার্শ্বশিক্ষকরা ক্লাস বয়কটের দাবী জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই পার্শ্বশিক্ষকরা অনশন এর আগে কোন অনুমতি নেয়নি। এরপর পুলিশকে ওই স্থান খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশ ও শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি চরমে ওঠে। আলো নিভিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রায়ই কোথাও না কোথাও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রায় শোনা যায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের ন্যায্য দাবি না পাওয়ায় অনশনে বসেছেন। বঞ্চনার দাবিতে সড়ক হলে পুলিশ দিয়ে দমন করা হচ্ছে তাঁদের। এর আগেও দীর্ঘ সময় অনশনে বসেছেন শিক্ষকরা। যদিও সুরাহা হয়নি কোন কিছুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চোখ রাঙিয়ে মারধর করে দমন করেছে তাদের।