জমা দিতে হবে…! পুলিশের ‘ভূমিকা’য় ক্ষুব্ধ বিচারপতি! কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ। এবার ফের একবার দেখা গেল সেই চিত্র। এক মামলার শুনানিতে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির (Justice Joymalya Bagchi) ডিভিশন বেঞ্চ।

পুলিশের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ’ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!

জানা যাচ্ছে, ফোনের ওপার থেকে কুপ্রস্তাব আসায় প্রতিবাদ করেছিলেন মহিলা আইনজীবী। ওপারে থাকা ব্যক্তি হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাঁর মোবাইল নম্বর পর্ন সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তাঁরা এফআইআর নেননি বলে অভিযোগ।

ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তাতেই উচ্চ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পুলিশ। বড় নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। পশ্চিমবঙ্গের থানাগুলির সাইবার ক্রাইমের পরিকাঠামো ও অফিসারদের কী ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, এবার সেই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তলব করা হল। অর্থাৎ আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গেই লালবাজারের সাইবার শাখাকে এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুনঃ অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে নিয়ে বড় খবর! ED এবার যা দাবি করল … জোর শোরগোল!

আদালত সূত্র উদ্ধৃত করে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছর মার্চ মাস থেকে এই ঘটনা শুরু। অভিযোগ, রাজেশ সাধুখাঁ নামের একজন ব্যক্তি ওই মহিলা আইনজীবীকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেন। মহিলা আইনজীবী এই বিষয়ে পুলিশের (Police) দ্বারস্থ হওয়ার কথা বললে আসে পাল্টা হুমকি। গালাগাল দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘তোমার মোবাইল ফোন নম্বর পর্নোগ্রাফি সাইটে ছড়িয়ে দেব। ট্রেনে, বাসে তোমার নম্বর দিয়ে দেব’।

Calcutta High Court

এরপর থেকেই নানান অজানা নম্বর থেকে ওই মহিলা আইনজীবীর মোবাইলে ফোন ঢুকতে শুরু করে বলে অভিযোগ। দেওয়া হতে থাকে নানান কুপ্রস্তাব। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তিদের কেউ জানান, ট্রেন থেকে কেউ আবার বাস অথবা ফেরিঘাট থেকে তাঁর নম্বর পেয়েছেন বলে জানান। এরপর এই নিয়ে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা আইনজীবী। তবে তাতে কোনও সুরাহা হয়নি!

অভিযোগ, ঘটনা শোনার পর থানার ডিউটি অফিসার বলেন, ‘এই রকম লক্ষ লক্ষ ফোন আসে। কতজনের পিছনে আমরা ছুটব?’ একথা বলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন তিনি। থানার আইসি-র দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই মহিলা আইনজীবী। এবার তাতেই উচ্চ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ। বড় নির্দেশ দিয়ে দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর