বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন যে ভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সেই সম্পর্কে যদিও সকলেই অবগত রয়েছেন। তবে অসম পশ্চিমবঙ্গ এসব জায়গায় আপাতত বিক্ষোভের আগুন প্রশমিত হলেও উত্তরপ্রদেশ কিন্তু এখনও অবধি সংবেদনশীল রাজ্যের তালিকায় রয়েছে, আর উত্তর প্রদেশের মধ্যে রয়েছে মিরাট সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি বড় ধরনের শহর, প্রতিদিন পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে
আর সেই মিরাটে গিয়েই গত শুক্রবার সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে বসলেন এক পূর্বতন পুলিশ কর্তা। যেহেতু শুক্রবার নতুন করে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তাই বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে গিয়ে এক পুলিশকর্মী পাকিস্তানে চলে যাওয়ার নিদান দিলেন। জানা গিয়েছে মিরাটের পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিং কয়েক জন মুসলিম পুরুষের সামনে দাঁড়িয়ে নাকি তিনি বলেছেন, আপনাদের মধ্যে যাঁরা কালো নীল ব্যাজ পড়ে আছেন তাঁদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলুন।
এর সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে অখিলেশ সিং এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে মুসলিমদের কাছে ফিরে আসেন এবং এক এক ঘরকে এক এক আদমি কো জেল মে ভোর দুঙ্গা ম্যায় বলতে শোনা যায়। যদিও ঠিক কী কারণে এ রকম সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করতে শোনা গেল তা কিন্তু এখনই কারও কাছে স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককেই। কিন্তু এখনও অবধি গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে যোগী প্রশাসন তাই উত্তর প্রদেশের সম্ভল কানপুর ফিরোজাবাদ লখনউ সহ বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে যোগী রাজ্যের পুলিশ। এখনও অবধি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে পাঁচ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছেই।
তবে শুধুমাত্র ও পরিস্থিতির উপরে নজরদারি রাখাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ার উপরেও কড়া নজরদারি করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ফেসবুক টুইটার এবং ইউটিউবের বিভিন্ন পোস্টের ওপর খেয়াল রাখছে পুলিশ প্রশাসন। আর তাই তো ইতিমধ্যেই 21 হাজার পোস্টকে আপত্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । এর মধ্যে ফেসবুক টুইটার এবং ইউটিউবের ভিডিও রয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার জন্য বাঁচানো বইটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।