গতকাল নানুরে যান,বিজেপি নেতা মুকুল রায়,বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে গিয়ে বিশ্বপ্রিয়বাবু এমনই এক নিদান দিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিনিধি,নানুর,বীরভূমঃ চলতি মাসের আট তারিখে নানুরে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বিজেপি নেতা স্বরূপ গড়াইয়ের মৃত্যু হয় দুষ্কৃতিদের গুলিতে। অভিযোগ ছিল,তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরাই তাকে গুলি করেছে। পাশাপাশি তার মৃত্যুর আগে শেষ জবানবন্দিতে তিনি জানিয়ে জান,নানুর ব্লকের থুপসড়া অঞ্চলের তৃনমূলের নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান তার খুনের মূল অভিযুক্ত। এরপর থেকেই শুরু হয় খন্ডযুদ্ধ। ওই তৃনমূল নেতা কেরিম খানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিতে বিজেপির নেতা-কর্মীরা নানুর থানা ও সিউড়ি এসপি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এরপরেই শনিবার পুলিশ সিউড়ির এসপি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল সহ একাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে। যদিও তাদেরকে সেই রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার অর্থাৎ গতকাল নিহত বিজেপি নেতা স্বরূপ গড়াইয়ের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়,বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী,যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে গিয়ে মুকুলবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশের নামে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এরপরেই বিশ্বপ্রিয়বাবু পুলিশকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় বলেন,“এখানকার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এখানকার পুলিশকর্তা যিনি আছেন তাকে আবার বলবো,আমরা সময় দিচ্ছি মাত্র ৭ দিন। মুখ্য অভিযুক্তকে যদি না ধরা হয়, তাহলে এরপরে মুখ্য অভিযুক্তকে কিভাবে ধরতে হয়, কি করতে হয় তা আমরা দেখাবো। পুলিশ যেন দাঁড়িয়ে দেখে,যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেবো। জনগণকে নিয়ে আমরা যা করার করবো, পুলিশ যেন দাঁড়িয়ে দেখে।”
তিনি আরও বলেন,“আর মাত্র কয়েকটা মাস।তারপরেই তো সরকারটা বদলাবে।তৃণমূল আর থাকবে না।বিজেপি আসবে। আর এদের এমন অবস্থা করবো না, দেশদ্রোহীর কেস দিয়ে সারা জীবনের জন্য জেলে ঢুকিয়ে দেবো। আর ফিরবে ডেড বডি। তার ব্যবস্থা করে দেবো।”