বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভাঙড় (Bhangar) যেন শান্ত হচ্ছেই না। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে অশান্তি। তা এখনও চলছে পুরোদমে। এবার নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) এলাকায় ঢুকতে বাধা দিল পুলিস। শুক্রবার সকাল সোওয়া দশটা নাগাদ আইএসএফ বিধায়ক নিউ টাউনের হাতিশালায় পৌছলেই সেখানেই তাঁকে আটকান পুলিস আধিকারিকরা।
ডিসিপি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় তাঁকে জানিয়ে দেন, ভাঙড়ে একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারি রয়েছে। সেই কারণে বারুইপুরের এসপির যে নির্দেশ রয়েছে, সেই নির্দেশ অনুযায়ী, বিধাননগর কমিশনারেটের বর্ডার ধরে ভাঙড়ে যেতে পারবেন না আইএসএফ বিধায়ক।
যাঁদের ছাড় দেওয়া হবে বলে পুলিসের অর্ডার, সেখানেও নাম নেই নওশাদ সিদ্দিকির। নওশাদের হাতে অর্ডার কপিও তুলে দেওয়া হয়। নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, সেই অর্ডারে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার কথা রয়েছে। তিনি জমায়েত করতে চান না। একশো চুয়াল্লিশ ধারা লঙ্ঘন না করেই তিনি একাই যেতে চান। কিন্তু পুলিসের তরফে নওশাদকে এখনও যেতে দেওয়া হয়নি। নিউটাউটে সকাল সোওয়া দশটা থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে আইএসএফের বিধায়ক।
শাসক দলের নেতারা গেলে তিনি কেন ভাঙড়ে যেতে পারবেন না? সকাল সোওয়া দশটা থেকে হাতিশালায় ঠায় দাঁড়িয়ে নওশাদ। যতক্ষণ না সদুত্তর পাবেন ততক্ষণ সেখানে থাকবেন তিনি এমনটাই তাঁর দাবি। এই হুঁশিয়ারি দিউয়েছেন ISF বিধায়ক নিজে। এর পাল্টা তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা জানিয়েছেন আবার কি উস্কানি দিতেই যাচ্ছেন তিনি?
নওশাদ অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে অনৈকভাবে আটকানো হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে প্রশাসনের তরফে পরিকল্পনা করে তাঁকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে শাসক দলের নেতা শওকত মোল্লা ভাঙড়ে অবাধে বিচরণ করতে পারলেও তিনি এলাকায় প্রবেশের অনুমতিই পাচ্ছেন না। তাঁর অভিযোগ, পুলিস ভাঙড়ে অত্যাচার করছে।