বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নন্দীগ্রামে প্রচার অভিযানের সময় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ওনাকে নন্দীগ্রাম থেকে গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। SSKM-এ প্রায় ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আজ সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ছুটি পান তিনি। ওনাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসতে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্যরা।
আর আজ মুখ্যমন্ত্রীর ছুটির দিনেই কমিশনের কাছে রিপোর্ট পেশ করল পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল নবান্নে। সেখানে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের কথা উল্লেখ করে সেটিকে নিছকই দুর্ঘটনা বলা হয়েছিল। আর আজকের রিপোর্টেও ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ নেই। তবে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার নিজের কর্মসূচি বদল করেছিলেন বলে নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পুলিশকে।
বলে রাখি, আঘাতপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী গাড়ির মধ্যে থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জাহির করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঘটনা ঘটার সময় কোনও স্থানীয় পুলিশ ছিল না। এখন পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, বারংবার কর্মসূচি বদল হওয়ায় পুলিশের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। কারণ পুলিশের কাছে আগাম কোনও খবর ছিল না।
পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি চলাকালীন ওনার কনভয়ের খুব কাছাকাছি ছিল স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট। এছাড়াও কনভয়ের সামনে ছিলেন নন্দীগ্রাম থানার ওসি এবং পিছনে ছিলেন মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার। কিন্তু হুটহাট করে কর্মসূচি বদল করায় পুলিশ সুপারের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সঙ্গে থাকা সম্ভব হয়নি।
একদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ ঠেলা দেননি। ওনার গাড়ির দরজা খুঁটিতে গিয়ে লাগায় এই বিপত্তি ঘটে। আরেকদিকে, তৃণমূল এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিতে অনড়। এমনকি নির্বাচন কমিশনের দিকেও সরাসরি আঙুল তুলেছে শাসক দল। আরেকদিকে কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের নয়। সেই কারণে এই ঘটনায় কমিশনের দিকে আঙুল তোলা মানে মর্যাদাহানি করা। যদিও, আজকের পুলিশের রিপোর্টে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে এখনও তদন্ত চলছে …