বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাঁসখালিতে নাবালিকার ধর্ষণ ও জোর করে তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার কারণে গোটা রাজ্যেই পুলিশ, প্রশাসনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর এরই মধ্যে রাণাঘাটের এসপি সায়ক দাসের একটি মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সায়ক দাস বলেছেন যে, নাবালিকা ওই পার্টিতে গিয়ে মধ্যপান করেছিল। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জেরায় একথা স্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার বলেন অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, মেয়েটা মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করত। সায়ক দাসের এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সবার প্রশ্ন একতা যে, নাবালিকার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে পুলিশ সুপার কীভাবে বলছেন নাবালিকা ওইদিন মদ্যপান করেছিল?
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘আমি শুনলাম বাচ্চা একটি মেয়ে মারা গেছে। সেটা আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি শরীরটা খারাপ বলবেন?… আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।’
এরপরই ডিজির কাছে জানতে চান মমতা তিনি ঠিক বলছেন কি না, এরপর আরও বলেন, ‘মেয়েটি মারা গেছে ৫ তারিখ। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখ। পুলিশ কীকরে তদন্ত করবে? কী করে বোঝা যাবে মেয়েটি রেপ হয়েছে নাকি প্রেগনেন্ট ছিল নাকি ধরে মারা হয়েছে নাকি শরীরটা খারাপ ছিল? কাউকে কিছু না বলেই দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হল, পুলিশকে জানানো হল না। এবার পুলিশ তদন্ত করবে কী করে?’
এখানেই থামেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও দাবি, ‘মেয়েটির লাভ অ্যাফেয়ার ছিল বাড়ির লোক সেটা জানত। প্রতিবেশীরাও সেটা জানত। এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে,সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, যে লাভ জিহাদ প্রোগ্রাম করব।’